বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ খেলছে। প্রথমার্ধ শেষে বাংলাদেশ ১-৩ গোলে পিছিয়ে রয়েছে। দুই দলের মধ্যকার প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক থাইল্যান্ড ৩-০ গোলে জিতেছিল।
প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক থাইল্যান্ড প্রথম মিনিটেই লিড নিয়েছিল। আজকের ম্যাচও দুই মিনিটের মধ্যে গোল পাওয়ার সুযোগ হয়েছিল থাইল্যান্ডের। বা প্রান্ত থেকে ক্রসে বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা পরাস্ত হন। গোলরক্ষক রুপ্না চাকমাও বল গ্রিপে নিতে পারেননি। ফাঁকা পোস্টেও থাইল্যান্ডের ফরোয়ার্ড বল জালে পাঠাতে পারেননি।
১২ মিনিটে থাই অধিনায়ক সাওয়ালক গোল করেন। এই গোলের পেছনে বাংলাদেশের হাই লাইন ডিফেন্সই দায়ী। বাংলাদেশ নিজেদের অর্ধে একেবারে সেন্টার লাইনের উপরে ডিফেন্স করছিল। বাংলাদেশের ডিফেন্স ভেদ করা বদল অধিনায়ক সাওয়ালক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন। বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা দৌড়িয়েও বাধা দিতে পারেননি। গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা পোস্ট থেকে বেরিয়ে আসলেও তার পায়ের ফাক দিয়ে বল জালে পাঠান থাই অধিনায়ক।
২৩ মিনিটে থাইল্যান্ড ব্যবধান দ্বিগুণ করে। এটাও বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা উপরে থাকায় থাই ফরোয়ার্ড সহজেই গোলের সুযোগ পান। গোলরক্ষক রুপ্না পোস্ট থেকে বেরিয়ে আসলেও তার মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠান জিরাপরান।
২৯ মিনিটে শামসুন্নাহারের দুর্দান্ত গোলে বাংলাদেশ খেলায় ফেরে। বা প্রান্ত থেকে মারিয়া মান্দার কর্ণারে থাইল্যান্ডের বক্সে লাফিয়ে হেড করেন শামসুন্নাহার। বলের দিক পরিবর্তন করে গোলরক্ষককে কোনো সুযোগই দেননি তিনি। সাইড পোস্টে লেগে বল জালে জড়ায়। বাংলাদেশের ফুটবলাররা উল্লাসে মাতে।
বাংলাদেশের সেই উল্লাস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। পাঁচ মিনিট পর আবার থাইল্যান্ড গোল করে। এবারও সেই একই স্টাইল। বাংলাদেশের ডিফেন্স লাইন উপরে থাকায় ডিফেন্ডাররা থাই ফরোয়ার্ডদের কাছে পরাস্ত। গোলরক্ষক রুপ্না এগিয়ে এসেও গোল বাঁচাতে পারেননি।
আইকে/টিএ