কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ছন্দহীন থাকায় প্রায় বছরখানেক দলের বাইরে ছিলেন বাবর আজম। সবকিছু ঠিক থাকলে দীর্ঘ বিরতির পর আজ টি-টোয়েন্টি খেলতে মাঠে নামবেন পাকিস্তারের টপ অর্ডারের ব্যাটার।
রাওয়ালপিন্ডিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। আর এই ম্যাচেই ইতিহাসে নাম লেখানো থেকে এক কদম দূরে আছেন বাবর আজম। পুরুষদের টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ‘রাজা’ হতে ডান হাতি ব্যাটারের প্রয়োজন আর মাত্র ৯ রান। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এই ম্যাচেই রোহিত শর্মাকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার সুযোগ বাবরের।
টি-টোয়েন্টিতে ১৫৯ ম্যাচে রোহিত শর্মার রান ৪২৩১। ৫ সেঞ্চুরি ও ৩২ ফিফটিতে ৩২ গড়ে এই রান করে এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে সর্বোচ্চ রান ভারতীয় ওপেনারের। আর তালিকায় দুইয়ে থাকা বাবর ৩৯.৮৩ গড়ে ১২৮ ম্যাচে করেছেন ৪২২৩ রান। সেঞ্চুরির সংখ্যা ৩, ফিফটি ৩৬।
শীর্ষে থাকা রোহিত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন ইতোমধ্যেই। ৪১৮৮ রান নিয়ে রানের তালিকায় তিনে থাকা রোহিতের সতীর্থ বিরাট কোহলিও ক্রিকেটের এই সংস্করণকে বিদায় বলেছেন। তাতে বাবর আজম চূড়ায় নিচের জায়গা আরও পোক্ত করার অনেক সময়ই পাবেন।
লম্বা সময় দলের বাইরে থাকা এই তারকা ব্যাটারের ব্যাটিং পজিশন কি হবে- নিশ্চিত করেছেন কোচ মাইক হেসন। টি-টোয়েন্টিতে অধিকাংশ ম্যাচে ওপেনিংয়ে খেলেছেন বাবর। তবে পাকিস্তানের সাদা বলের কোচ জানিয়েছেন, এবার ব্যাট হাতে দেখা যাবে তাঁকে তিন নম্বরে।
গত পরশু সংবাদ সম্মেলনে হেসন বলেন, ‘আমি অবশ্যই তাঁর দলে ফেরাকে সমর্থন করি। ফখর জামানকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পাঠানো হয়েছে, ফলে আরেকজন টপ অর্ডার ব্যাটারের জন্য জায়গা তৈরি হয়েছে। বাবরের জন্য এটা দারুণ সুযোগ। সম্ভবত সে তিন নম্বরে ব্যাট করবে, আর আমি আত্মবিশ্বাসী—এই ভূমিকায় সে দারুণ করবে।’
প্রায় এক দশক পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলের উজ্জ্বল মুখ হিসেবে পরিচিত বাবর আজম। নিখুঁত কভার ড্রাইভ আর চাপের মধ্যে শান্ত থাকার স্বভাব তাঁকে বাকি সবার থেকে আলাদা করে তুলেছে।
অবশ্য এই টি-টোয়েন্টিতেই তার ব্যাটিং নিয়ে তীব্র সমালোচনাও করেছেন নিন্দুকেরা। বাবরের ব্যাটিং টি-টোয়েন্টি সুলভ নয়, এমন মন্তব্য প্রায় শোনা যায় অনেকের মুখে। ৩১ বছর বয়সী ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে মানানসই নয় বলে সবশেষ এশিয়া কাপে পাকিস্তান দল থেকে বাদ পড়েন।
তবে সমালোচনার চাপে পিষ্ট হননি বাবর। ঠিকই দলে নিজের জায়গা আদায় করে নিয়েছেন। পাকিস্তানও আস্থা রেখেছে দলের সর্বোচ্চ রানের মালিকের ওপর। এবার নিজেকে প্রমাণের সঙ্গে দলের আস্থার প্রতিদান দেওয়ার পালা বাবরের।
আইকে/টিএ