এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে আজ জিততেই হতো বসুন্ধরা কিংসকে। প্রথম ম্যাচে আল সিবের কাছে ৩-২ গোলে হারায় আজকেরটি তাই বাঁচা-মরার ছিল। কিন্তু কুয়েতের জাবের আল মুবারক স্টেডিয়ামে স্বপ্ন জিইয়ে রাখতে পারেনি কিংস। আল আনসারের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছে।
অথচ, ম্যাচের শুরুতেই লিড নেওয়ার দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিল কিংস। কিন্তু চতুর্থ মিনিটে পাওয়া সুযোগটা হেলায় নষ্ট করলেন দরিয়েলতন। সতীর্থ এমানুয়েল সানডের পাস যখন বক্সের মধ্যে পেলেন তার সামনে ছিল শুধুই আল আনসারের গোলরক্ষক নাজি আসাদ। কিন্তু তিনি বল মারলেন সরাসরি গোলরক্ষকের শরীরে।
২২ মিনিটে আরেকটি সুযোগ পান দরিয়েলটন। কিন্তু এবার ব্যর্থ তিনি। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢোকার সময় বলে স্পর্শ জোরালো হওয়ায় কিংসের ফরোয়ার্ড শট নেওয়ার আগেই লেবাননের ক্লাবটি গোলরক্ষক ধরে ফেলেন। বিপরীতে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ২ মিনিট আগে গোল হজম করে বসে কিংস।
বাঁ প্রান্ত থেকে ৪৩ মিনিটে মোহাম্মদ হেবুস বক্সের মধ্যে ফ্রি-কিক নিলে গোলবারে হেড নেন আবুবকর জিবরিন আকুকি। মিডফিল্ডারের বল ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেও পারেননি গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ।
ম্যাচের ৫৩ মিনিটে অবশ্য ঠিকই কিংসকে দ্বিতীয় গোল হজম করা থেকে রক্ষা করেন শ্রাবণ। বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে আলি টিনিচের পেনাল্টি সেভ করে। ৬৩ মিনিটে তাকে পরাস্ত করেছিলেন টিনিচ।
হ্যান্ডবল হওয়ায় তার গোলটা অবশ্য পরে বাতিল করেন রেফারি। ফিরতি মিনিটে কিংস সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পায়। তবে সানডের শট জালে জড়াতে দেননি আনসারের গোলরক্ষক। বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করেন তিনি।
৭৪ মিনিটে প্রতিপক্ষকে আবারও পেনাল্টি উপহার দিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনে কিংস। তবে এবার মিস করেননি হিসেম খালফাল্লাহ। বাঁ-পায়ে আনসারকে ২-০ লিড এনে দেন তিনি। পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে দুই-একটা আক্রমণ করে কিংস। উল্টো যোগ করা সময়ে তৃতীয় গোল হজম করে কিংস। হেবুসের গোলে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের স্বপ্নও শেষ হয় কিংসের। শেষ ম্যাচে কুয়েত এসসির বিপক্ষে জিতলেও তাই কোনো লাভ হবে না।
আরপি/এসএন