বেশি অ্যালার্জি হয় যেসব খাবারে

খাবারে অ্যালার্জি খুবই কমন একটি সমস্যা। বিভিন্ন খাবার খেলে অ্যালার্জি হয়। এক্ষেত্রে কারও একটা খাবার থেকে অ্যালার্জি হতে পারে, আবার বিভিন্ন খাবার থেকেও হতে পারে। একজনের যে খাবারে অ্যালার্জি হয়, অন্যজনের সেই খাবারে না ও হতে পারে।

এলার্জি থেকে শরীর চুলকায়, শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকা চাকা হয়ে ফুলে যায়। অনেক ক্ষেত্রে লাল হয়ে যায় এবং চুলকানির তীব্রতা এতই ব্যাপক হয় যে, আক্রান্ত ব্যক্তির সহ্যের ক্ষমতা পর্যন্ত থাকে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবার পর থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে অ্যালার্জি শুরু হতে পারে। খাবারে অ্যালার্জি হলে তা কখনো সামান্য, কখনো আবার গুরুতর আকার ধারণ করে। এক্ষেত্রে যেসব খাবারে অ্যালার্জি হচ্ছে তা এড়িয়ে চলাই ভালো। প্রয়োজনে সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে।

চলুন জেনে নিই, সবচেয়ে বেশি অ্যালার্জি হয় যেসব খাবারে-

দুধ
দুধে এলার্জি থাকে। বিশেষ করে গরুর দুধে। তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে আড়াই শতাংশ শিশুর গরুর দুধে অ্যালার্জি থাকে। তবে দুধে অ্যালার্জি থাকা আর ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স, কখনই এক নয়। তবে ৩ বছরের উপরে এই এলার্জি কমতে থাকে।

ডিম
ডিম থেকে এলার্জি বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে দেখা দেয়। তবে অধিকাংশ শিশুই দুধের মতোই ডিমের অ্যালার্জিতে ভোগে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ডিমের সাদা অংশে থাকা প্রোটিন থেকে এই অ্যালার্জি হয়।

ট্রি নাটস
কাজু, পেস্তা, আমন্ড, আখরোট, ব্রাজিল নাট, এই ধরনের গাছ বাদামে অনেকেরই অ্যালার্জি থাকে। তবে কোনো এক ধরনের বাদামে অ্যালার্জি থাকা মানেই অন্য বাদামেও অ্যালার্জি হবে, এমনটা নাও হতে পারে।

চিনা বাদাম
চিনাবাদাম থেকে এলার্জি খুব গুরুতর এবং মারাত্মক এলার্জি প্রতিক্রিয়া হতে পারে। শিশুদের মধ্যে প্রায়ই চিনা বাদামে অ্যালার্জি দেখা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, চিনাবাদাম এলার্জি ৪-৮% শিশু এবং ১-২% বয়স্কদের উপর প্রভাব ফেলে।

শেল ফিশ
শেল ফিশ মানে সেই ধরনের মাছকে বুঝায়, যে মাছ শক্ত খোসা বা আবরণ দ্বারা ঢাকা থাকে। শেল ফিশে অ্যালার্জি খুবই কমন বিষয়।বিভিন্ন প্রকারের শেল ফিশ যেমন চিংড়ি, কাঁকড়া, ওয়েস্টার, শামুক জাতীয় খাবার, যার শক্ত খোল রয়েছে তার থেকেই বিশ্বের প্রায় ৬০% মানুষের অ্যালার্জি হয়।

সয়াবিন জাতীয় খাবার
সাধারণত শিশুদের ক্ষেত্রেই সয়াবিন জাতীয় খাবার থেকে অ্যালার্জি দেখা যায়। সাধারণত অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ১০ বছর বয়সের পর থেকে তা কমে আসে।

মাছ
অনেকের কোনো এক বিশেষ প্রকার মাছে অ্যালার্জি থাকে, আবার অনেকের স্যালমন, টুনা, ম্যাকরলে জাতীয় সামুদ্রিক মাছ খেলে অ্যালার্জি হয়।

এছাড়াও বেশকিছু ফল ও সবজি থেকে অনেকেরই অ্যালার্জি হয়। যেমন বেগুন, গাজর, টমেটো, পিচ ফল, কলা ইত্যাদি।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: