বলিউডের ‘অ্যাকশন কিং’ ধর্মেন্দ্র বরাবরই তার অসাধারণ অভিনয় ক্ষমতা এবং অনস্ক্রিন বীরত্বের জন্য পরিচিত। তবে ক্যামেরার বাইরেও তার সাহস এবং ব্যক্তিত্ব ছিল কিংবদন্তীতুল্য।
সম্প্রতি পরিচালক সত্যজিৎ পুরী একটি সাক্ষাৎকারে ধর্মেন্দ্রর জীবনের এমন কিছু ঘটনার বর্ণনা করেছেন, যা অভিনেতার অন্য এক দিক তুলে ধরে।
সত্যজিৎ পুরী বলেন, ‘সেই সময়ে আন্ডারওয়ার্ল্ড খুব শক্তিশালী ছিল। কোনো অভিনেতাকে ফোন করলে তারা ভয়ে চুপসে যেতেন। কিন্তু ধর্মেন্দ্র এবং তার পরিবার কখনও ভয় পেত না।’
আন্ডারওয়ার্ল্ডের লোকেদের ধর্মেন্দ্র একবার স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, ‘তোমাদের সঙ্গে তো ১০ জন লোক আছে, কিন্তু আমার পুরো সেনাবাহিনী আছে। আমি একজনকে ডাকলে ট্রাক বোঝাই মানুষ লড়াই করতে আসবে। তাই আমার সঙ্গে ঝামেলা করো না।’
তিনি বলেন, ‘একবার একজন ধর্মেন্দ্রকে ছুরির আঘাত করেছিলেন। কিন্তু তিনি এক মিনিটের মধ্যেই পরিস্থিতি সামাল দিয়ে দিয়েছিলেন। আজকের অভিনেতারা ছয়জন দেহরক্ষী নিয়ে ঘোরেন। কিন্তু সেই সময়ে ধর্মেন্দ্র এবং বিনোদ খান্নার মতো অভিনেতারা স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতেন।’
শুধু তাই নয়, পরিচালক ধর্মেন্দ্রর অ্যাকশন দৃশ্যেরও প্রশংসা করেছেন। তিনি একবার একটি ঘোড়াকে আঘাতের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন। সত্যজিৎ জানিয়েছিলেন, ধর্মেন্দ্র, সানি এবং ববি দেওলের মতো সাহসী আর কেউ নেই। তিনি ‘গুলামি’ ছবির সেটে অ্যাসিস্ট করেছিলেন ধর্মেন্দ্রকে।
একবার শটের সময়ে একটি ঘোড়াকে প্রাসাদে উঠতে হয়েছিল। যে প্রাসাদের সিঁড়ি মার্বেলের তৈরি। ঘোড়াটি সিঁড়িতে দাঁড়িয়েই প্রস্রাব করে ফেলে, যা ইউনিটের কেউ লক্ষ্য করেনি। ফলে সিঁড়ি পুরোপুরি পিচ্ছিল হয়ে যায়।
ধর্মেন্দ্র নিজস্ব স্টাইলে ঘোড়াটি চালাতে শুরু করেন। ঘোড়া ছুটতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই পা পিছলে যেতে শুরু করে। আহত হন অভিনেতা। চোট লাগা সত্ত্বেও সবটা সামলে নেন তড়িঘড়ি। তবে ঘোড়া আহত হওয়ায় মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল ধর্মেন্দ্রর। ঘোড়ার মালিককে ২০০ টাকা দিয়েছিলেন তিনি।
টিজে/এসএন