বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দুইটা পদ্ধতি। যেগুলো একমত আছি এখনকার আইন পারমিট এক্ষণি করে ফেলেন। আর বাকিগুলো ছেড়ে দেন সংসদের কাছে। সংসদ যেটা প্রয়োজন মনে করে গণভোট করবে।
আমাদের বিবেচনা আইনবিদদের সঙ্গে কথা বলেছি। গণভোটের প্রয়োজন আমরা মনে করি না।’
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে এসব কথা বলেন তিনি।
গণভোট প্রয়োজন নেই মনে করার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমরা আগে আইনবিদদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছিলাম যে, এখন যদি কোনো গণভোট করি; এই গণভোট করার পরে পার্লামেন্টে যখন আলোচনা করব, তখন এই পার্লামেন্ট কিন্তু গণভোটের কোনো কিছু মানতে বাধ্য না।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নতুন সংকট সৃষ্টি করেছে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘আমরা সংকটের অবসান চেয়েছিলাম তার থেকে নতুন সংকট সৃষ্টি করল এবং এই সংকট সৃষ্টির মধ্য দিয়ে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পরিস্থিতিকেও সংকটে ফেলতে পারে বলে মনে হচ্ছে।’
দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দ্বিকক্ষের পক্ষেই না। আমরা মনে করি এ ধরনের পরিবর্তনের জন্য দীর্ঘ আলোচনা হওয়া দরকার।
আলোচনায় আমাদের আপত্তি নেই। আলোচনা করে সবাই মিলে মনে করলে করব পার্লামেন্ট। কিন্তু বেঁধে দিচ্ছে কি ৪৫ দিনের মধ্যে করতে হবে এবং বিএনপিসহ অন্যরা যেটা মানে নাই, সেইটাও তাদের মানতে হবে। তার মানে ডিফেক্টও ৪৫ দিনের মধ্যে আরেকটা ভোট করা লাগবে না। তারা এখানে দ্বিকক্ষবিষ্ট পার্লামেন্ট পার্মানেন্ট করে দেবে।
এগুলো ডেঞ্জারাস। নতুন নতুন সংকট তৈরি করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাকে তো ফিরে যেতে হবে জনগণের কাছে। কিন্তু আমি দেখছি জনগণকে উপেক্ষা করে উনি ১৭০ দিন, ৪৫ দিন অটোমেটিক্যালি হয়ে যাবে- যে কথাগুলো বললেন, দিব্য চোখে আমার কাছে মনে হয়েছে জনগণকে উপেক্ষা করা।
পিএ/এসএন