তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে করা আপিলের ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী রোববার (২ নভেম্বর) দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ পরবর্তী শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে করা আপিলের ওপর পঞ্চম দিনের মতো শুনানি করেন আইনজীবী শাহরিয়ার কবির।
তারও আগে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে করা আপিলের ওপর চতুর্থ দিনের মতো শুনানি চলে। ওইদিন শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী শিশির মনির, বদরুদ্দোজা বাদলসহ ৩ জন।
চতুর্থ দিনের শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনির আদালতকে বলেন, যে প্রক্রিয়ায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দেয়া হয়েছিল, তা ছিল পরিকল্পিত। শেখ হাসিনা এই ব্যবস্থা বিলুপ্তির মাধ্যমে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছিলেন। তাই জুলাই সনদের ভিত্তিতে যেন আদালত তত্ত্বাবধায়ক বিষয়ে রায় দেন, সেই প্রত্যাশা করেন আইনজীবীরা।
১৯৯৬ সালে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। পরবর্তীতে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।
গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেয়া হয়। এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।
ইএ/এসএন