'কাবিনে যেহেতু সই করেছেন, সংসারও করতে হবে', বিএনপিকে বললেন হাসনাত

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, একটি দল জুলাই সনদের স্বাক্ষর করে আজ আবার তার বিপক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। আমরা বলব, কবুল যেহেতু বলেছেন, কাবিনে যেহেতু সিগনেচারও করেছেন, আপনাদের সংসারও করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) কুমিল্লার লাকসামে জাতীয় নাগরিক পার্টির এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের নেতা নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী ভাই আজকে বলেছেন, স্বাক্ষর করার পরে বিএনপি আজকে আবার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বিয়েই যদি না-ই করবেন, তাহলে কাবিনে সিগনেচার কেন করলেন। সংসার যদি নাই করবেন তাহলে কবুল কেন বললেন। কবুল যেহেতু বলেছেন, কাবিনে যেহেতু সিগনেচারও করেছেন, আপনাদের সংসারও করতে হবে।

সংসার যদি না করতে চান, রাস্তা খোলা আছে, জনগণের সামনে এসে বলতে হবে আমরা ডিভোর্স দিতে চাই। জনগণের সামনে মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। জনগণকে বোকা বানিয়ে সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া যাবে না।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ রেখে লড়াই করেছেন, আপনারা আমাদের পরামর্শ দেন মাঝে মাঝে যে, আমরা ছোট মানুষ, তরুণদের দল, বাচ্চাদের দল। আমরা আপনাদের বলতে চাই, সরকারি চাকরিতে একটা নির্দিষ্ট সময়ে পরে চাকরিতে রাখে না। একারণেই রাখে না, হয়তো তারা সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে নিতে পারবে না। হয়তো বয়সের ভারে, অভিজ্ঞতার ভারে, কাজ করতে করতে তারা ক্লান্ত হয়ে যায়।

আমাদের এ প্রবীণ প্রজন্ম, আমাদের এ স্বাধীনতাকে যথাযথভাবে ধারণ করতে পারেনি বলেই আমাদের আজকে রাজনৈতিক দল গঠন করতে হয়েছে।

এ সময় এনসিপির এ নেতা বলেন, সংস্কারের বিপক্ষে যারা ‘না’ এর অবস্থান নিয়েছে তাদেরকে আপনারা চিহ্নিত করে রাখুন। তারাই আবার তত্ত্বাবধায়কের বিপক্ষে ও আপনার ভোট এবং মৌলিক অধিকারের বিপক্ষেই অবস্থান নেবে।

এর আগে লাকসাম উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করেন হাসনাত। পরে তিনি বিভিন্ন সড়কে এনসিপির লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংঘঠক নাভিদ নওরোজ শাহ এবং এনসিপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এমআর 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
প্যান্ট ছাড়াই জুম আদালতের শুনানিতে হাজির পুলিশ অফিসার, হতবাক বিচারক Oct 31, 2025
img
চাকরির শেষ কর্মদিবসে বিদ্যালয়েই প্রাণ গেল প্রধান শিক্ষকের Oct 31, 2025
img
বিশ্বকাপের আগে সৌদিতে খেলার ইচ্ছা মেসির, সৌদি আরবের ‘না’! Oct 31, 2025
img
সরকার কী করবে, আমরা সত্যিই বুঝতে পারছি না: আসিফ নজরুল Oct 31, 2025
img
নীতিনির্ধারণে নমনীয়তা ও নাগরিক দায়িত্বের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার Oct 31, 2025
img
এসি মিলানকে টপকে ইউরোপিয়ান ফুটবলে ইতিহাস গড়ল বায়ার্ন মিউনিখ Oct 31, 2025
img
এভারেস্টে আটকে পড়া পর্বতারোহীদের উদ্ধার করতে গিয়ে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার Oct 31, 2025
img
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ Oct 31, 2025
img

আখতার হোসেন

বিকল্প হিসেবে 'শাপলা কলি' কতটা দৃষ্টিনন্দন আকৃতির তা বুঝতে চাই Oct 31, 2025
img
দেশের ৮ বিভাগে বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস Oct 31, 2025
img
নতুন অধ্যাদেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অনুমোদন Oct 31, 2025
img
দেশের বাজারে ফের কমল স্বর্ণের দাম Oct 31, 2025
img
সীমা ছাড়িয়েছে মনে হলেই জবাব দেই : সোনাক্ষী সিনহা Oct 31, 2025
img
'কাবিনে যেহেতু সই করেছেন, সংসারও করতে হবে', বিএনপিকে বললেন হাসনাত Oct 31, 2025
img
ঝড়ের কবলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিমান! Oct 30, 2025
img
হঠাৎ হাসপাতালে অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা Oct 30, 2025
img
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত Oct 30, 2025
img
অ্যাডিশনাল এসপি মশিউর রহমান গ্রেপ্তার Oct 30, 2025
img
ইসির তালিকা থেকে বাদ পড়ল আলোচিত যেসব প্রতীক Oct 30, 2025
img
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২ কর্মকর্তার রদবদল Oct 30, 2025