গণভোটের ব্যাপারে আদেশ জারি করতে হবে : হাসনাত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যাত্রা শুরু করতে হলে নির্বাচনের বিকল্প নেই। আর সেই নির্বাচনের আগে গণ ভোটের ব্যাপারে আদেশ জারি করতে হবে।’

আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে এনসিপির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের সময় বাংলাদেশ একটি গণতন্ত্রহীন সময় পার করেছে। এখন আমাদের গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য নির্বাচন আবশ্যক। নির্বাচনের মধ্য দিয়েই আমরা গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে পারব এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনের আগে কিছু কাজ আমরা নির্ধারণ করেছি, যার অনেকগুলোই সম্পন্ন হওয়ার পথে। এখন গণ ভোটের বিষয়ে একটি স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার সময় এসেছে।

এই গণ ভোটের ব্যাপারে আদেশ জারি করতে হবে—যা কোনো অধ্যাদেশ বা প্রজ্ঞাপন নয়, বরং গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেই তা জারি করতে হবে। কোনো ফ্যাসিস্ট সরকারের রেখে যাওয়া কর্মকর্তার আদেশের এখতিয়ার নেই।’

সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা যে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি, তাতে কখনও বিএনপি–জামায়াত একমত হয়েছে, আবার কখনও অবস্থান বদলেছে। যে দল সংস্কারের পক্ষে থাকবে, তাদের সঙ্গে আমাদের হৃদ্যতা বজায় থাকবে।আগামীর বাংলাদেশ হবে আওয়ামী লীগবিহীন বাংলাদেশ।’

সভায় পিরোজপুর জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন এবং এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও বরিশাল জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাইদ মুসা।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ফ্যাসিবাদ সরকার যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ফেলে গেছে: শামা ওবায়েদ Oct 31, 2025
img
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে: নির্বাচন কমিশনার Oct 31, 2025
img
আসন্ন নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ফেক নিউজ : শফিকুল আলম Oct 31, 2025
img
মোবাইল ফোন হারালে ব্লক করার প্রক্রিয়া Oct 31, 2025
img
ভেনেজুয়েলায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র Oct 31, 2025
img
চরমপন্থা-সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার Oct 31, 2025
img
মহানগর ও বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিটে চালু হচ্ছে নতুন পোশাক Oct 31, 2025
img
ডাচ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে রব জেটেন Oct 31, 2025
img
কুয়েতে দুর্ঘটনার কবলে কিংসের বাস, অনুরোধ রাখেননি ম্যাচ কমিশনার Oct 31, 2025
img
তদন্তের মধ্যেই হাসপাতালে ছুটলেন শিল্পা শেঠি Oct 31, 2025
img
আমি যখন কোনো সম্পর্কে থাকি তখন আমার পুরোটা দিই: তামান্না ভাটিয়া Oct 31, 2025
img
দলগুলো ঐকমত্যে আসতে না পারলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: হাসনাত Oct 31, 2025
img
জবি ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদের পদত্যাগ, পরে ডিলিট করলেন পোস্ট Oct 31, 2025
img
যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা লুটপাট দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়ন করেছে : এ্যানি Oct 31, 2025
img
১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়ন কাজ যাচাইয়ে ডিএনসিসির কমিটি গঠন Oct 31, 2025
img
জিম্বাবুয়েকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত আফগানিস্তানের Oct 31, 2025
img
খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল এক পর্যটকের Oct 31, 2025
img
সিলেটের জালাল আহমেদ ও যীশুসহ ১০ ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা-কর্মচারী পেলেন বিশেষ সম্মাননা Oct 31, 2025
img
তেল আবিবের সমুদ্র সৈকতে নেতানিয়াহুর ব্যঙ্গচিত্র Oct 31, 2025
img
প্রিন্স উপাধি হারালেন অ্যান্ড্রু, ছাড়তে হবে রাজকীয় প্রাসাদ Oct 31, 2025