বাংলাদেশের ফুটবলে আবারও পড়ল ফিফার নিষেধাজ্ঞার খড়গ। শেখ জামাল ধানমন্ডি, ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ও বসুন্ধরা কিংসের পর এবার সেই তালিকায় যোগ হলো ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা গতকাল মোহামেডানের ওপর খেলোয়াড় নিবন্ধনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
২০২২-২৩ মৌসুমে মোহামেডানের হয়ে খেলেছিলেন ইরানী ফুটবলার মাইসেম শাহ জাদেহ। ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী পাওনা অর্থ পরিশোধ না করায় মাইসেম ফিফায় অভিযোগ করেন। ফিফা অভিযোগটি আমলে নিয়ে মোহামেডানের বিরুদ্ধে রায় দেয় এবং খেলোয়াড় নিবন্ধন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানায়।
ফিফার হেড অব ডিসিপ্লিনারি আমেরিকো এসপাল্লাগাস স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, মাইসেম শাহ জাদেহর বকেয়া পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত মোহামেডানের ফুটবলার নিবন্ধনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে মোহামেডান তিনটি ট্রান্সফার উইন্ডোতে কোনো খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না। এই চিঠির কপি ফিফা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এবং সংশ্লিষ্ট ফুটবলার মাইসেম-এর কাছেও।
বর্তমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান এ মৌসুমেও আর্থিক সংকটের মধ্যেই দল গঠন করেছে। এখন ইরানী ফুটবলারের বকেয়া পরিশোধ না করলে আসন্ন মধ্যবর্তী দলবদলে নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধন করতে পারবে না ক্লাবটি।
ফিফার রেজিস্ট্রেশন ব্যান পোর্টাল অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের দশটি ফাইল খোলা রয়েছে। এর মধ্যে বসুন্ধরা কিংসের পাঁচটি, শেখ জামালের তিনটি, সকার ক্লাব ফেনী ও মোহামেডানের একটি করে ফাইল রয়েছে।
অন্যদিকে, ফিফার নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বসুন্ধরা কিংস কুয়েতে অনুষ্ঠিত এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে ফর্টিজের তিন বিদেশি খেলোয়াড়কে সফরসঙ্গী করেছে। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন না থাকায় তারা খেলতে পারছেন না যা বিশেষজ্ঞদের মতে, পেশাদার ক্লাবের অপেশাদার সিদ্ধান্ত।
 
ফিফার এই ধারাবাহিক নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলের প্রশাসনিক দুর্বলতা ও আর্থিক অনিয়মের স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইএ/টিকে