কিছুদিন আগে বহুতল আবাসনের নির্দিষ্ট একটি জায়গায় বাজি বিক্রি হচ্ছে দেখে পুলিশে খবর দেন শ্রীলেখা মিত্র। ভারতীয় বাংলা সিনেমার এই অভিনেত্রীর অভিযোগ পেয়ে পুলিশ আসার পরেই শুরু হয়েছে বিপত্তি।
             
         নিজের ফ্ল্যাটের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ধার্য খরচ দেওয়া সত্ত্বেও শ্রীলেখাকে কোনো ধরনের নিরাপত্তা এবং সুযোগসুবিধা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
প্রতিদিন সকালে আবাসনের প্রতিটি বাসিন্দার বাড়ি থেকে আবর্জনা নিয়ে যান আবাসনেরই পরিচ্ছন্নকর্মী। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে শ্রীলেখার বাড়ির আবর্জনা নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিনেত্রী। এমনকি আবাসনে আরও একটি নির্দিষ্ট জায়গা আছে যেখানে আবর্জনা রাখা হয়। সেখানে অভিনেত্রীর বাড়ির ময়লা রেখে আসা হলেও তা নিয়ে যাওয়া হয়নি। উল্টো অভিনেত্রী দেখেন তার ফ্ল্যাটের আবর্জনা রেখে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার পরেই শ্রীলেখা সিদ্ধান্ত নেন নিজের ফ্ল্যাটের বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাবেন। প্রতিবেশীরা এতেও আপত্তি জানাননি।
শ্রীলেখা বলেন, সিসিটিভি লাগানোতে আবাসনের ফ্যাসিলিটি ম্যানেজার বলেছেন- আমাকে আর কোনো নিরাপত্তা দেওয়া হবে না। বাজি বিক্রি নিয়ে প্রতিবাদ করায় সেদিনও তিনি হুমকি দিয়েছিলেন। আমি পুলিশ ডাকায় তাদের চাকরি নিয়ে নেওয়ারও ভয় দেখিয়েছিলেন। কোথা থেকে এত সাহস পান উনি? সব জানা আছে আমার।
এই পরিস্থিতিতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, আমি পুলিশ, কর্পোরেশনসহ নানা জায়গায় জানিয়েছি। আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছি। আমি শিল্পী মানুষ। এ রকম অশান্তি করার কোনো ইচ্ছা নেই। এর ফলে আমার শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছে। একজন নারী একা থাকে বলে তাকে হেনস্তা করা সহজ, তাই না!
শ্রীলেখার মেয়ে পড়াশোনার জন্য কলকাতার বাইরে থাকেন। টালিগঞ্জের আবাসনে অভিনেত্রী তার পোষ্যদের নিয়ে একা থাকেন। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আপাতত খুবই চিন্তিত তিনি।
আরপি/টিকে