আগামীতে এনসিপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে : যুবশক্তি আহ্বায়ক

জুলাই সনদের অবস্থানের কারণে প্রমাণিত হয় আগামীতে এনসিপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন জমিদারি আচরণ করছে। এটি অগ্রহণযোগ্য। শাপলাই হবে এনসিপির প্রতীক। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ দ্রুত জারি করতে হবে। জুলাই সনদের অবস্থানের কারণে প্রমাণিত হয় আগামীতে এনসিপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে।

রাজধানীর বাংলা মোটরে অস্থায়ী কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে জাতীয় যুবশক্তির আয়োজনে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচন কোন পথে?' শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)'র মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, নির্বাচন কমিশন নতুন গেজেটে আমাদেরকে শাপলা কলি প্রতীক দিয়েছে। কমিশন এটি কিসের ভিত্তিতে নির্ধারণ করেছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। তবে শাপলা প্রশ্নে আমরা আপসহীন।

তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট প্রকৃতপক্ষে নোট অব চিটিং। আর জামায়াত মুখে জুলাই সনদের কথা বললেও তারা নিন্মকক্ষে পিআরের কথা বলে আসন নিয়ে দরকষাকষি করছে। এটা এক ধরনের ভণ্ডামি।

পাটওয়ারী বলেন, কমিশনকে শাপলা সম্পৃক্ত করে নতুন গেজেট দিতে হবে। আমরা শান্তিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। অন্যথ্যায় কমিশন কার্যালয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে, তা আদায় করে নিবো।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর প্রথম অনৈক্যের সৃষ্টি করেছে বিএনপি। ঐকমত্য কমিশনে দলটি নোট অব ডিসেন্ট নোট অব চিটিং।

আমরা মনে করি সুপারিশকৃত সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করতে হবে সরকারকে। এতে সই করার একমাত্র এখতিয়ার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। এখানে (রাষ্ট্রপতি) চুপ্পুর কোনো ক্ষমতা নেই। কারণ সে একজন খুনি।

তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি পিএসসিতে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে ভাইয়াগিরি করার জন্য। নতুন বাংলাদেশে এমনটি করতে দেওয়া হবে না। ঐকমত্য কমিশনে বিএনপি কিচ্ছু করতে চাইলে তরুণরা প্রতিহত করবে।
জাতীয় যুবশক্তির মুখ্য সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ সোহেলের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামন্তা শারমিন, ডা. তাসনিম জারা, ডা. খালেদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ। 

টিজে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ছাত্রদল নেতা আবিদুলের ফেসবুক আইডি ডিজেবল, ‘বট আক্রমণের শিকার’ দাবি Nov 01, 2025
img
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বড় জয়ে সিরিজে ফিরল পাকিস্তান Nov 01, 2025
img
সুন্দরগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল যুবকের Nov 01, 2025
img
যা হওয়ার হয়ে গেছে, সমস্যা সমাধান করে নির্বাচনের পথে এগোন : মির্জা ফখরুল Nov 01, 2025
img
‘ঢাকায় পা রাখলেই জাকির নায়েককে যেন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়’ Nov 01, 2025
img
মন্ত্রী হলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন Nov 01, 2025
img
হাসপাতালে নুরুল হাসান সোহান, শরিফুলকে নিয়েও আছে শঙ্কা Nov 01, 2025
img
আ. লীগের মিছিল বেগবান হচ্ছে, দিশেহারা পুলিশ : মোস্তফা ফিরোজ Oct 31, 2025
img
টলিউডে রাজনীতি এখন আরও প্রকট: রঞ্জিত মল্লিক Oct 31, 2025
img
ফ্যাসিবাদ সরকার যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ফেলে গেছে: শামা ওবায়েদ Oct 31, 2025
img
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে: নির্বাচন কমিশনার Oct 31, 2025
img
আসন্ন নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ফেক নিউজ : শফিকুল আলম Oct 31, 2025
img
মোবাইল ফোন হারালে ব্লক করার প্রক্রিয়া Oct 31, 2025
img
ভেনেজুয়েলায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র Oct 31, 2025
img
চরমপন্থা-সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার Oct 31, 2025
img
মহানগর ও বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিটে চালু হচ্ছে নতুন পোশাক Oct 31, 2025
img
ডাচ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে রব জেটেন Oct 31, 2025
img
কুয়েতে দুর্ঘটনার কবলে কিংসের বাস, অনুরোধ রাখেননি ম্যাচ কমিশনার Oct 31, 2025
img
তদন্তের মধ্যেই হাসপাতালে ছুটলেন শিল্পা শেঠি Oct 31, 2025
img
আমি যখন কোনো সম্পর্কে থাকি তখন আমার পুরোটা দিই: তামান্না ভাটিয়া Oct 31, 2025