নেতার ছেলে যোগ্য শিক্ষক হলেও কি অপরাধ—এমন প্রশ্ন তুলে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, ‘আমাদের মনমানসিকতার পরিবর্তন না হলে এই দেশ ভালো মানুষের জন্য বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়বে।’
শনিবার নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
মিথ্যাচার ও কারো চরিত্র হনন করা কোনো নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নয় উল্লেখ করে পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (AIUB) এর সহকারী অধ্যাপক সাঈদ ইব্রাহিম আহমেদের একাডেমিক ক্যারিয়ার বেশ বর্ণাঢ্য। তিনি University of Toronto, University of Kent, Imperial College London থেকে স্কলারশিপে পড়াশোনা করেছেন।
২০১৯ সাল থেকে তিনি AIUB তে নিয়মিত শিক্ষকতা করছেন। প্রতিদিন ক্লাস নেন, শিক্ষার্থীদের পড়ান ও নিজে পড়েন। মাঝেমধ্যে পত্রিকায় কলাম লেখেন।’
রাশেদ খান লেখেন, ‘আমার সঙ্গে অনেকবার তার কথা ও আলোচনা হয়েছে।
সেই সুবাদে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। দেশ নিয়ে তার চিন্তা খুবই ইতিবাচক। বিশেষ করে শিক্ষাখাত, খেলাধুলা ও তরুণদের নিয়ে তিনি কাজ ও চিন্তা করেন। কিন্তু তার কি অপরাধ যে, সে একজন নেতার ছেলে? আমরা পরিবর্তনের রাজনীতির কথা বলি, কিন্তু নেতার ছেলে যোগ্য শিক্ষক সেটাও বুঝি অপরাধ? তিনি নেতার ছেলে হিসেবে মিডিয়া বা ফেসবুক গরম করে বেড়ান, তেমন লোক না!’
তিনি আরো লেখেন, ‘তিনি খুবই ভদ্র ও আন্তরিক একজন মানুষ।
তিনি কি তাহলে শিক্ষকতা ছেড়ে খারাপ কাজে লিপ্ত হলে খুশি হবে? মানে ফেসবুক এমন একটা জায়গা হয়ে পড়েছে, কোনো তথ্য উপাত্ত প্রমাণ ছাড়া যাকে নিয়ে যা খুশি লিখলাম, আর অন্ধ মুরিদরা সেগুলো বিশ্বাস করে প্রচার করবে! এই মিথ্যাচার ও কারো চরিত্র হনন করা কোনো নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নয়। হ্যাঁ, ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের প্রতি অনেকের আকর্ষণ আছে। তিনি ৮৫ বছরের মানুষ। তার সঙ্গে স্মৃতি ধরে রাখাও গৌরবের বিষয়। ঠিক যেমন; ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে রয়েছে আমাদের স্মৃতি.... যাইহোক, আমাদের মনমানসিকতার পরিবর্তন না হলে এই দেশ ভালো মানুষের জন্য বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়বে।’
আইকে/টিএ