আমি যেহেতু ঢাকার সন্তান, এখান থেকেই হয়তো লড়তে হবে: নাহিদ

আমি যেহেতু ঢাকার সন্তান সেক্ষেত্রে আমাকে হয়তো ঢাকা থেকেই লড়তে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। রোববার (২ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় এনসিপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে তিনশ আসনেই এনসিপির প্রার্থী দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। হয়তো এ মাসেই আমাদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। তখনই জানা যাবে- কে কোন আসন থেকে লড়বেন। এছাড়াও অনেকেই যার যার এলাকা থেকে ইতোমধ্যেই কাজ করছেন, সেটাও আপনারা জানেন।

জুলাই সনদ নিয়ে এনসিপির অবস্থান কী সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে আমরা আমাদের অবস্থান বরাবরই স্পষ্ট করে আসছি যে, বাংলাদেশে আমরা রাষ্ট্র সংস্কার চাই, পরিবর্তন চাই, গণতান্ত্রিক সংস্কার চাই, সেই প্রেক্ষিতেই গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে আমার নতুন সংবিধানসহ গণপরিষদ এবং রাষ্ট্রের মৌলিক রূপরেখা দিয়ে আসছিলাম, দাবি জানিয়ে আসছিলাম। আমাদের সেই দাবিতে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল সম্মত হয়নি। তারা সেই বিষয়গুলো বুঝতে পারেনি। তার ফলে পরিস্থিতি বারবার জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, সর্বশেষ গণভোট ও জুলাই সনদের বিষয় যখন আসলো, আমরা ঐকমত্য করেছি। কিন্তু জুলাই সনদ অনুষ্ঠানে আমরা যাইনি এবং সনদে স্বাক্ষর করিনি। এখন অনেকে বলতেছে, জুলাই সনদ নিয়ে প্রতারণা হয়েছে। কিন্তু কোনো বিবেচনা ছাড়া তারা যখন স্বাক্ষর করে ফেললেন, তখন কিন্তু তাদের এই বোধোদয় হলো না যারা প্রধানত এই দাবিটা সামনে নিয়ে আসছিল, তারা যখন এই অনুষ্ঠানে গেল না, তারা সনদে স্বাক্ষর করল না, তাদের ছাড়া স্বাক্ষর করা জাতির সাথে প্রতারণা। জাতীয় অনৈক্য সেদিনই হয়েছিল, যেদিন জুলাই সনদে স্বাক্ষর হয়েছিল। আমরা সেদিনই পরিষ্কার করেছিলাম, সরকার এটি কীভাবে বাস্তবায়ন করবে, সে বিষয়ে নিশ্চয়তা ছাড়া এই সনদে স্বাক্ষর করার কোনো মানে হয় না।
ঐকমত্য কমিশন একটি সুপারিশমালা দিয়েছে, আমরা সুপারিশমালাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি জানিয়ে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, সুপারিশমালার প্রস্তাব-১-এর সাথে আমরা সমর্থন জানিয়েছি। সরকার এখনও তাদের অবস্থান ব্যক্ত করেনি, তারা শেষপর্যন্ত কী করতে যাচ্ছে।  

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইউনাইটেড ছাড়লে স্পেনিশ বা ইতালিয়ান ক্লাবে খেলতে চান ব্রুনো ফের্নান্দেস Dec 18, 2025
img

জুলাই হত্যাযজ্ঞ

কাদের-আরাফাতসহ ৭ নেতার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল Dec 18, 2025
img
‘ধুরন্ধর’ অক্ষয় খান্নার হয়ে কি বললেন স্মৃতি ইরানি? Dec 18, 2025
img
প্রাক্তন স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে মামলা করলেন কুমার শানু Dec 18, 2025
img
লেভানদোভস্কির ‘অবিশ্বাস্য’ রেকর্ডে চোখ কেইনের Dec 18, 2025
img
ঢাকায় ফের চালু ভারতীয় ভিসা সেন্টার Dec 18, 2025
img
‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে প্রবাসীদের নিবন্ধন ছাড়াল ৪ লাখ ৮৩ হাজার Dec 18, 2025
img
ইউক্রেন ইস্যুতে কোনো আপস করবেন না পুতিন Dec 18, 2025
img
নেটপ্রভাবী থেকে নায়িকা, প্রীতি সরকারের নতুন অধ্যায়! Dec 18, 2025
img
শুধু পড়াশোনা করে কেউ মানুষ হয় না: যীশু সেনগুপ্ত Dec 18, 2025
img
নেইমারকে বিশ্বকাপ পর্যন্ত রাখতে চায় সান্তোস Dec 18, 2025
img
তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস Dec 18, 2025
img
রাজধানীর নিকুঞ্জের সামনে ট্রাক উল্টে সড়কে তীব্র যানজট Dec 18, 2025
img
আর শারীরিক যন্ত্রণা নয়, ২০২৬ নিয়ে নতুন পরিকল্পনা সামান্থার! Dec 18, 2025
img
সিরিয়ার ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা স্থায়ীভাবে তুলে নিলো যুক্তরাষ্ট্র Dec 18, 2025
img
বাংলা শিখছেন সাইফ আলি খান, তবে কি টলিউডে পা রাখছেন তিনি? Dec 18, 2025
img
২১ বছরের তরুণ ফুটবলার প্রাণ হারালেন সড়ক দুর্ঘটনায় Dec 18, 2025
img
বিয়েবাড়িতে কেন অস্বস্তিতে পড়েছিলেন অভিনেতা সাইফ? Dec 18, 2025
img
দেশের বাজারে কত দামে স্বর্ণ ও রুপা বিক্রি হচ্ছে আজ? Dec 18, 2025
img
সীমান্ত দিয়ে কোনো দুষ্কৃতকারী দেশ ত্যাগ করে বের হতে পারবে না Dec 18, 2025