অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্যের প্রশংসা করে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পর ইউনূস সরকারকেই আমি সবচেয়ে সফল মনে করি। কারণ ৫ আগস্টের পর দেশে দুর্ভিক্ষ বা গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা ছিল। সেই পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে সামলেছে এই সরকার।”
রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের কাজী খলিলুর রহমান মিলনায়তনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, “৩০০ আসনের এককক্ষ বিশিষ্ট সংসদই গুছিয়ে পরিচালনা করা যাচ্ছে না। সেখানে আরও ১০০ আসন যুক্ত করলে তা শুধু ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহৃত হবে।” তিনি মনে করেন, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত না হলে দ্বিকক্ষ সংসদ চালু করে কোনও সুফল পাওয়া যাবে না, বরং তা দুর্নীতির নতুন দরজা খুলে দেবে।
তিনি বলেন, “নির্বাচন হলে বর্তমান এককক্ষ সংসদকেই বহাল রাখা উচিত। রাষ্ট্র এখন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, কিন্তু দরকার সচেতন ও শিক্ষিত ভোটার তৈরি করা।”
নির্বাচন কমিশনের সময়সীমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা আশা করি ইউনূস সরকারের নির্ধারিত ডেডলাইনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের মানুষ এখন শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়, তাই এই সরকার তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করছে।”
ব্যারিস্টার ফুয়াদ আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের জন্য ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ের সীমা নির্ধারণ করেছে, কিন্তু বাস্তবে একেকটি আসনে নির্বাচনের দিনেই এক কোটি টাকার বেশি খরচ হয়। রাষ্ট্র যখন কোটি কোটি টাকা অন্য খাতে ব্যয় করে, তখন গণতন্ত্র রক্ষার জন্য নির্বাচনের ব্যয় রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেই বহন করা উচিত।”
তিনি বলেন, “আমরা প্রস্তাব দিয়েছি-নির্বাচন যেন রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে অনুষ্ঠিত হয়, যাতে প্রার্থীরা অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার শিকার না হন। এতে সৎ, যোগ্য এবং তরুণ প্রার্থীরাও অংশ নিতে পারবেন।”
সংবিধান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, “বর্তমান সংবিধান কার্যত মৃত। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে থাকুক বা না থাকুক, জনগণ এখন আর তাদের চায় না। বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনে তার প্রমাণ মিলেছে। জনগণ পরিবর্তন চায়, আর সেই পরিবর্তনের পথ এখন ইউনূস সরকারের অধীনেই উন্মুক্ত হচ্ছে।”
মতবিনিময় সভায় ব্যারিস্টার ফুয়াদ এবি পার্টির ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী শেখ জামাল হোসেনকে সাংবাদিকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় তিনি বলেন, এবি পার্টি দেশে নীতিনিষ্ঠ, তরুণ নেতৃত্ব গড়ে তুলতে চায় এবং সেই লক্ষ্যেই তারা রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
টিকে/