আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। আন্দোলন-সংগ্রামে পাশে থাকা সমমনা দলগুলোর জন্য বাকি আসনগুলোর বেশির ভাগ ফাঁকা রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে দলের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকায় অনেক আসনে প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। আবার অনেকে চেয়েও পাননি মনোনয়ন।
             
        
যারা মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন, তাদের অনুসারীরা রাতেই টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
মনোনয়ন নিয়ে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় নেতাকর্মীরা আবেগে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।
 তিনি বলেছেন, তাদের এই আবেগকে সম্মান করতে হবে। এই নেতাকর্মীদের জন্যই একেকজন মনোনয়নপ্রত্যাশী এক নাম্বার, দুই নাম্বার, তিন নাম্বারে চলে আসেন।
এত নেতাকর্মীর ভালোবাসা, নেতাকর্মীদের ত্যাগ, নেতাকর্মীদের শ্রম, নেতাকর্মীদের ঘামেই কিন্তু আমরা এত দূর আসি যে আমরা মনোনয়নটা প্রত্যাশা করতে পারি। সুতরাং তাদের তো নিশ্চয়ই মনটা খারাপ হবে। সেটাও আমাদের সম্মান করতে হবে।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে এসব কথা বলেন তিনি।
 
বিএনপির এই নেত্রী বলেন, মনোনয়ন দেওয়ার আগে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বারবার আমাদের সঙ্গে বসেছেন। আমাদের বলেছেন, সবাইকে তো মনোনয়ন দেওয়া যায় না। ৩০০-এর মধ্যে ৩০০ জনকে দিতে পারব, এর বেশি দিতে পারব না। কিন্তু দলে অন্য কোনোভাবে তাকে প্রোভাইড করা হবে। এগুলো বলা হয়েছে।
এত বড় একটা দল, প্রতিটি আসনে ১০ জন পর্যন্ত মনোনয়নপ্রত্যাশী আছে। সে জন্য সেখান থেকে একজনকে বাছাই করা খুবই কঠিন। 
নির্বাচন যখন ঘনিয়ে আসে, অনেকে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, সেটা বিএনপি ঠেকাতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, আমাদের দলের মহাসচিব এটাকে সম্ভাব্য তালিকা বলেছেন। তিনি এটাও বলেছেন- এখানে যুক্তও হতে পারে, পরিবর্তনও হতে পারে। ৬৩টি আসন এখনো ঘোষণা হয়নি। সে কারণে এত দ্রুত আসলে কে স্বতন্ত্র দাঁড়াবেন বা কাদের দাঁড়ানোর সম্ভাবনা আছে- এটা বলা খুব ডিফিকাল্ট।
টিজে/টিকে