সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে তিন সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের (বিএনপি) ২ নেতাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান খান মুন্না এবং সদস্যসচিব আশরাফ নেওয়াজ চৌধুরী শাওন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন—কাপাসিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মো. সিরাজুল ইসলাম এবং কাপাসিয়ার রায়েদ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন।
এর আগে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের ভুলেশ্বর এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন সাংবাদিক বনে গজারি গাছ কাটা ও লুটপাটের দৃশ্য ধারণ করছিলেন। এ সময় কাপাসিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মো. সিরাজুল ইসলামের নির্দেশে হামলা চালানো হয়। সরাসরি হামলায় অংশ নেন রায়েদ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন এবং প্রধান অভিযুক্ত আবুল কাশেম ওরফে গজারী কাশেম।
হামলায় গুরুতর আহত হন দৈনিক নয়া দিগন্তের মাল্টিমিডিয়া প্রতিনিধি মো. মোজাহিদ, দৈনিক আমার সংবাদের প্রতিনিধি এস এম জহিরুল ইসলাম এবং দৈনিক আলোকিত সকালের প্রতিনিধি হুমায়ুন কবীর তুষার। আহত সাংবাদিকদের পুলিশ উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় জড়িত আবুল কাশেম, মামুন ও আলামিনকে গ্রেপ্তার করে কাপাসিয়া থানা পুলিশ।
এরপর দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, গাজীপুর জেলা শাখা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। জেলা কমিটির সিদ্ধান্তে মো. সিরাজুল ইসলাম এবং মো. মামুনকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের সব নেতা-কর্মীকে বহিষ্কৃতদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ না রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দুই নেতা বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক দল সর্বদা গণতন্ত্র ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সাংবাদিকদের ওপর হামলার মতো নিন্দনীয় ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কোনোভাবেই সংগঠনে স্থান নেই।’
স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ এই হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে দলীয় এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
ইউটি/টিএ