অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চলতি মাসেই গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮টি রাজনৈতিক দল স্মারক লিপি দেবে। এইমধ্যে মৎস্য ভবন মোড়ে মিছিল আটকে দিয়েছে পুলিশ। গণমিছিলে অংশ নেয়া ৮ দলের আট জন প্রতিনিধি যমুনায় গিয়েছেন৷
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চলতি মাসেই গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮টি রাজনৈতিক দল স্মারক লিপির দিতে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চলতি মাসেই গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮টি রাজনৈতিক দল স্মারক লিপির দিতে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) সকাল থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন সংলগ্ন এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে বাঁকা করব, ঘি আমাদের লাগবেই। বলেন, প্রয়োজনে আবার জীবন দেবো। জুলাইয়ের চেতনা ভুলুণ্ঠিত হতে দেবো না। সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করব৷ ঘি আমাদের লাগবেই৷
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, দাবি আদায়ের পথে অনেক দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনি ঐকমত্য কমিশনের প্রধান, সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের দায়িত্ব আপনার। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ এখুনি জারি করুন।
এর আগে সকাল থেকে পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর পল্টন এলাকা পরিণত হয় বিক্ষোভমুখর জনসমুদ্রে। আর নেতা কর্মীদের গণভোট গণভোট স্লোগানে প্রকম্পিত করে পুরো পল্টন এলাকা।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর পল্টন মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের জন্য উপস্থিত হয়েছেন নেতাকর্মীরা। এখানের সমাবেশ শেষে নেতারা যমুনা ভবনে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেবেন।
এ দিকে জামায়াতে ইসলামীর পাশাপাশি একই দাবিতে পল্টনে জড়ো হয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে নিরাপত্তার স্বার্থে ইতোমধ্যে বেশ কিছু পুলিশ সদস্য এখানে অবস্থান নিয়েছেন।
সকাল সাড়ে দশটার দিকে মিছিলের নেতৃত্ব দেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তার নেতৃত্বে ঢাকা দক্ষিণের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে মিছিলে অংশ নেন।
পাঁচ দফা দাবির মধ্যে আরও রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে রাজনৈতিক হয়রানি ও গ্রেফতার বন্ধ, নির্বাচনে সব দলের সমান সুযোগ এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমে বাধাহীনতা নিশ্চিত করা।
স্মারকলিপি প্রদানকারী আটটি দল হলো–বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)।
আইকে/এসএন