পাকিস্তান সব সময় বন্ধুর মতো পাশে থাকে: ইরানের স্পিকার

আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘ উত্তেজনার মাঝে মিত্র পাকিস্তানের ভূয়সী প্রশংসা করেছে ইরান। বৃহস্পতিবার ইরানের সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ বাকের কালিবফ দেশটির প্রশংসা করে বলেছেন, পাকিস্তান এমন এক বন্ধু, যে সব সময় পাশে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

পাকিস্তানে কলিবাফের সরকারি সফরের সময় তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিনেটের চেয়ারম্যানসহ দেশটির উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ইরানের স্পিকারের তিন দিনের এই সফরের লক্ষ্য ছিল ইরান ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশেষ করে অর্থনৈতিক ও সংসদীয় সহযোগিতা জোরদার করা। যা তেহরান-ইসলামাবাদ সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের স্পিকার আয়াজ সাদিকের সঙ্গে সাক্ষাতে কলিবাফ ইসলামাবাদ সফরে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জনগণের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, এই সমর্থন দুই জাতির গভীর বন্ধুত্বের প্রতিফলন এবং সংসদীয় সহযোগিতা আরও বাড়ানো জরুরি।

কলিবাফ বলেন, ইরানের ওপর সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলার জবাবে তেহরানের প্রতিক্রিয়া ছিল এই দখলদার ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর থেকে তাদের সবচেয়ে বড় আঘাত। তিনি বলেন, ইরান ও পাকিস্তানের নানা ক্ষেত্রে অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে এবং দুই দেশকে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও তার মিত্রদের মোকাবিলায় ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করতে হবে। তেহরান ও ইসলামাবাদ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিস্তৃত সহযোগিতা করতে পারে। আর এই সফরের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে দুই দেশের বাণিজ্যিক লেনদেনের পরিমাণ বাড়ানো ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করা।

আয়াজ সাদিক ইরানি জাতির বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠী আমাদের দুই দেশের অভিন্ন শত্রু। ইরান ও পাকিস্তান এক জাতি, যারা দুই প্রান্তে বাস করে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ইরানের ওপর ইসরায়েলি আক্রমণের নিন্দায় একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।

সফরের অংশ হিসেবে কলিবাফ পাকিস্তানের সিনেট চেয়ারম্যান সাইয়্যেদ ইউসুফ রাজা গিলানির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তারা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, সংসদীয় সহযোগিতা এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।

এসএস/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

শোকের সময় সাহাবীরা যা করতেন Dec 22, 2025
img
কার সঙ্গে আংটি বদল করলেন কৃতি স্যাননের বোন! Dec 22, 2025
img
ডিনদের পদত্যাগকে ‘মব’ দাবি করে প্রতিবাদ জানালেন বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা Dec 22, 2025
img
রাতভর আতঙ্কে কাটালেন উরফি জাভেদ! Dec 22, 2025
img
যে কোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা Dec 22, 2025
img
চট্টগ্রামে চেক প্রতারণা মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার Dec 22, 2025
img
‘ধূমকেতু’ বিতর্কের পর ফের মুখোমুখি দেব ও শুভশ্রী Dec 22, 2025
img
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ছেলের অন্নপ্রাশনে মুখ্যমন্ত্রী! Dec 22, 2025
img
একদিনের ব্যবধানে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ২ লাখ ২২ হাজার Dec 22, 2025
img
সামান্থার বিয়ের গোপনীয়তা নিয়ে কি জানালেন অভিনেতা গুলশান? Dec 22, 2025
img
বাংলায় হাত দিলে দিল্লি কেড়ে নেব: মমতা Dec 22, 2025
img
নারীদের লেখা গল্পে আবেগের সত্যতা আলাদা হয় : কৃতিকা কামরা Dec 22, 2025
img

ভারতী

যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কোলে মেয়ে না আসে, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব Dec 22, 2025
img
আগরতলা থেকেও বাংলাদেশের ভিসা কার্যক্রম স্থগিত Dec 22, 2025
img
আবারও মাঠে নামার ঘোষণা দিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন Dec 22, 2025
img
ভূমিকম্পের পর ঢাবির আবাসিক হলের কোনো ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ নয় : কর্তৃপক্ষ Dec 22, 2025
img
মিকি আর্থার আগের বিপিএলের পুনরাবৃত্তি চান না Dec 22, 2025
img
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা ছিল পরিকল্পিত : নাহিদ ইসলাম Dec 22, 2025
img
দেশে ওয়ারফেজের লিগ্যাসি কনসার্ট ট্যুর স্থগিত Dec 22, 2025
img
জন্মদিনে বড় চমকের আভাস দিলেন সালমান খান Dec 22, 2025