হায়দরাবাদের এক সাধারণ ছেলে থেকে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছিলেন যিনি তার নাম জয় বর্মা। তার এই দীর্ঘ চলার পথটি দর্শকদের জন্য একটি অনুপ্রেরণার গল্প।
প্রথমে জীবন চালানোর জন্য তিনি সিম কার্ড বিক্রি করতেন। এক সময় একটি মোবাইল কোম্পানিতে কাজ করতেন, যেখানে তার বস ছিলেন নোকিয়া শোরুমের মালিক। ভিজয় নিজের স্মৃতিচারণায় বলেন, “আমি যখন তিনটি সেল করতাম, বস প্রশ্ন করতেন, ‘চতুর্থ সেলটা কোথায়?’ একদিন আমি বলেছিলাম- ‘আপনার শোরুমে আমার ছবি লাগাব, আমি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হব।’ আর এখন দেখুন, নোকিয়া নেই।”
এই হালকা গল্পটিই ধীরে ধীরে পরিণত হলো আত্মপ্রত্যয়ের মুহূর্তে। স্বপ্ন পূরণের লড়াই, ধৈর্য এবং নিজের দক্ষতার প্রতি বিশ্বাস বিজয়কে এমন একজন অভিনেতা বানিয়েছে, যাকে শুধু অভিনয়ের জন্য নয়, চরিত্রের গভীরতার জন্যও সমাদর করা হয়।
এফটিআইআই থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর বিজয় ‘গালি বয়’, ‘ডার্লিংস’, এবং ‘মির্জাপুর’-এ তাঁর অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন। তার যাত্রা প্রমাণ করে, সঠিক আকাঙ্ক্ষা এবং অদম্য অধ্যবসায় বড় বড় ব্র্যান্ডের চেয়েও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
বিজয় বর্মার এই যাত্রা শুধুই তার নিজের জন্য নয়, বরং সেই সব যুবক এবং যুবতীদের জন্যও অনুপ্রেরণা, যারা স্বপ্ন দেখার সাহস রাখে কিন্তু পথের বাধার মুখোমুখি হয়।
টিএম/এসএন