বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সব মানুষকে নিয়ে জাতীয়তাবাদ জন্ম দিয়েছিলেন।’
আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে নাটোর উপ শহরে জেলা বিএনপির আয়োজনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘ভারতের দালালরা সেদিন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
সিপাহী জনতার আন্দোলনের মুখে শহীদ জিযাউর রহমানকে জেল থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করা হয়েছিল। সেদিন তা না হলে বাংলাদেশ আজ পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাষ্ট্রে পরিণিত হত। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা ও মানুষের ভোটের অধিকার ফেরত দিয়েছেন। দেশ এগিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু মাঝখানে এই আধিপত্যবাদের দোরসরা ১৬ বছর বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব আবারও বিপন্নের মুখোমুখি হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেদিন রাষ্ট্রভার গ্রহণ না করতেন তাহলে বিএনপির নামে যে জাতীয়তাবাদী দল তা হত না। তিনি হিন্দি, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সব মানুষকে নিয়ে জাতীয়তাবাদ জন্ম দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকার এবং ভাতের অধিকার ফেরত এসেছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আর্দশকে ধারণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে যাবে।
তার যোগ্য সন্তান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী দিনে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে ৩১ দফার মাধ্যমে বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রে পরিণিত হবে।’
নাটোর জেলা বিএনপির আহবায়ক রহিম নেওয়াজের সভাপতিত্বে বক্তব্যে দেন- জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, সাইফুল ইসলাম আফতাব, জেলা বিএনপির সদস্য শহীদুল ইসলাম বাচ্চু, সাবিনা ইয়াসমিন ছবি, জেলা বিএনপির সদস্য নাসিম উদ্দিন নাসিম, নাটোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ইমদাদুল হক আল মামুনসহ বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কেএন/এসএন