বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট বিষয়ে সৃষ্ট মতানৈক্য রাজপথের কর্মসূচি দিয়ে মিমাংসা করা যাবে না। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে যার নিরসন হয়েছে, রাজপথে শক্তি প্রদর্শনের পথে তা সমাধান হবে না। রাজনৈতিক দলসমূহের সাধারণ মতৈক্যের ওপর ভিত্তি করে সংকট উত্তরণে সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে পার্টির নির্বাচন সংক্রান্ত উপকমিটির সভায় এ সব কথা বলেন তিনি।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা করেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কেন্দ্রীয় সদস্য সিকদার হারুন মাহমুদ, আবুল কালাম আজাদ, যুবরান আলী জুয়েল, জামাল সিকদার, ফিরোজ আলী, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ রিয়েল, চুন্নু সিকদার, মাহমুদ উল হাসান খান, গোলাম রাজিব, আরিফুল ইসলাম, আতিকুর রহমান, ওসমান কবির, মাহমুদুল হাসান, সিদ্দিকুর রহমান, হরিলাল দাস, মোহাম্মদ সৈকত, নান্টু দাস, শিবু মোহান্ত প্রমুখ।
সভায় সাইফুল হক বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের অদূরদর্শীতায় রাজনীতিতে অনাকাঙ্খিত উত্তেজনা ও বিভেদ তৈরি হয়েছে। ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের প্রজ্ঞার অভাবে এই প্রশ্নে বিভেদ ও অনৈক্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার নিজেদের দায় এড়িয়ে অপ্রয়োজনীয়ভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে বল ছুড়ে দিয়েছে।
অধিকাংশ রাজনৈতিক দল যেখানে ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনের দিন একইসাথে গণভোটে অনুষ্ঠানে মত দিয়েছে সেখানে সরকারেরও এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে বোঝাপড়া না করে আরপিও চূড়ান্ত করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন যাতে টাকার খেলায় পর্যবসিত না হয় নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনে সন্ত্রাস,পেশীশক্তি ও প্রশাসনিক ম্যানিপুলেশান বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নির্বাচনী প্রচারণার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয় ও কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আরপি/ টিকে