বিদেশি বাণিজ্যের আড়ালে ৮৩ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ১৭টি মানিলন্ডারিং মামলায় দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
রোববার (৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে সিআইডি সদর দপ্তর জানিয়েছে, এ বিষয়ে বিকেল ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে, এ বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রপ্তানি বাণিজ্যের আড়ালে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা করেছে সিআইডি।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সিআইডির অনুসন্ধানে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও বিধি অনুযায়ী বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, তার ভাই বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
তারা ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানাধীন মোট ১৭টি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময়ে জনতা ব্যাংক মতিঝিলের দিলকুশা শাখা থেকে ৯৩টি ঋণপত্র বা বিক্রয় চুক্তির (এলসি বা সেলস কন্ট্রাক্ট) বিপরীতে পণ্য রপ্তানি করেছেন এবং নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরেও রপ্তানি মূল্য প্রায় ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তারা দেশে আনেননি।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- অ্যাডভেঞ্চার গার্মেন্টস লিমিটেড, অ্যাপোলো অ্যাপারেলস লিমিটেড, অটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেড, বেক্সটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেড, কসমোপলিটান অ্যাপারেলস লিমিটেড, কোজি অ্যাপারেলস লিমিটেড, এসেস ফ্যাশন লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেড, কাঁচপুর অ্যাপারেলস লিমিটেড, মিডওয়েস্ট গার্মেন্টস লিমিটেড, পিয়ারলেস গার্মেন্টস লিমিটেড, পিংক মেকার গার্মেন্টস লিমিটেড, প্ল্যাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেড, স্কাইনেট অ্যাপারেলস লিমিটেড, স্প্রিংফুল অ্যাপারেলস লিমিটেড, আরবান ফ্যাশনস লিমিটেড ও উইন্টার স্প্রিন্ট গার্মেন্টস লিমিটেড।
কেএন/টিকে