ভারতের সঙ্গে গত মে মাসে যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পদক ফিল্ড মার্শালে ভূষিত করা হয় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসীম মুনিরকে। এর মাধ্যমে তিনিই পাকিস্তানের দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি এই সামরিক সর্বোচ্চ পদে ভূষিত হন। এর আগে দেশটিতে প্রথমবারের মতো এই পদে ভূষিত হয়েছিলেন জেনারেল আইয়ুব খান।
এদিকে কাশ্মীরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ জড়ানো ভারতকে ব্যাপক আকারে নাস্তানাবুদ করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। যার জন্য ফিল্ড মার্শালে ভূষিত হওয়া সেনাপ্রধান আসীম মুনিরের পদটি এবার বদলেই ফেলতে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। বর্তমান পদবি সেনাপ্রধানের পরিবর্তে নতুন নামকরণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি তার ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। আর এর জন্য করতে হবে সংবিধান সংশোধনও। তবে এতে রাজি হয়েছেন শেহবাজ শরিফের সরকার। শনিবার এই পরিবর্তনের প্রস্তাব পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উভয়কক্ষে পেশ করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবিধানের ২৪৩ নম্বর ধারায় সেনাপ্রধানের ভূমিকার কথা বলা হয়েছে। এবার সেই ধারাতে সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২৪৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী নতুন একটি পদ তৈরি করা হবে। পদের নাম হবে- চিফ অফ ডিফেন্স ফোর্সেস বা প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রধান। বর্তমানে যিনি চিফ অব আর্মি স্টাফ বা সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনিই সংবিধানস্বীকৃত নতুন এই পদের দায়িত্ব সামলাবেন। আর তাই আসিম মুনিরই এই পদে আসীন হতে যাচ্ছেন।
এছাড়া নতুন সংশোধন প্রস্তাবে সেনাবাহিনীতে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিতেও জোর দেওয়া হয়েছে। তা পাশ হলে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে প্রেসিডেন্ট স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানকে নিয়োগ করবেন।
একইভাবে নিয়োগ করা হবে প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রধানকেও। সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবে কমান্ডার অব ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড নামের আরও একটি পদ তৈরির কথা বলা হয়েছে। দেশের পরমাণু এবং কৌশলগত সম্পদে নজরদারি করবেন এই পদাধিকারীরা। তাকে সেনাপ্রধানের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রী নিজে।
পাশাপাশি ফিল্ড মার্শাল, মার্শাল অব দ্য এয়ার ফোর্স এবং অ্যাডমিরাল অব দ্য ফ্লিটের মতো সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে থাকা কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ মর্যাদার কথা বলা হচ্ছে। যারা আজীবন সাংবিধানিক সুরক্ষা পাবেন।
পিএ/টিএ