বয়কট নয়, রাষ্ট্রীয় ব্যস্ততায় ভারত সফরে যাননি দুই মন্ত্রী: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারতের সঙ্গে কোনও বিষয়ে সমস্যা হলে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ সমাধান করবে। আমি যতটুকু জানতে পেরেছি বুদ্ধিজীবী, বিজয় দিবসের ব্যস্ততার কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সফর স্থগিত করেছেন। পরবর্তীতে সুবিধামত সময়ে তারা ভারত সফরে যাবেন। আবার নাও যেতে পারেন। 

শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে প্রত্যাগত প্রবাসী আওয়ামী ফোরামের প্রথম ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এখানে উল্লেখ্য যে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি তাদের এক প্রতিবেদনে বলেন, ভারতের নাগরিক সংশোধনী বিল (সিএবি) পাস হওয়ার পর দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সহিংসতা দেখা দেয়। এ জন্য বাংলাদেশের দুই মন্ত্রী ভারত সফর বাতিল করেছেন।

সড়ক ও সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, এনআরসি (নাগরিকপঞ্জি) ও ক্যাব (নাগরিকত্ব আইন) এ দু’টি বিষয় ভারতের সংসদে পাস হয়েছে। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয়। এ দুইটি বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বক্তব্য দিয়েছে। তার সঙ্গে আমিও একমত।

শেখ হাসিনার সরকারই হচ্ছে পঁচাত্তর-পরবর্তী একমাত্র সংখ্যালঘুবান্ধব সরকার উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল উদাহরণ হচ্ছে বাংলাদেশ। মাঝে মধ্যে দুই-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়তো ঘটে। এত বড় দেশ, এত মানুষের বসবাস, সেখানে ভালো মানুষের পাশাপাশি দুর্বৃত্ত আছে। দুর্বৃত্তায়নের চক্র আমরা ভেঙে দিতে চাই। ইতোমধ্যে আমরা দুর্বৃত্ত ধ্বংসে কার্যকর পদক্ষেপও নিয়েছি।

এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মো. আবুল কাশেম।

 

টাইমস/টিএইচ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
যশোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক রাশেদ খানের পদত্যাগ Jul 01, 2025
img
আইপিএলের সাবেক চেয়ারম্যানকে ১০ কোটি ৬৫ লাখ রুপি জরিমানা Jul 01, 2025
img
দেশে কত দামে স্বর্ণ ও রুপা বিক্রি হচ্ছে আজ? Jul 01, 2025
img
শাকিব খানের নামের আগে ‘মেগাস্টার’ শব্দে আপত্তি জাহিদ হাসানের! Jul 01, 2025
বাস্তব জীবনে নিজের বিপদের সময় কাউকে পাশে পাইনি: পরীমনি Jul 01, 2025
img
সিরিয়ার ওপর থেকে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প Jul 01, 2025
img
হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হলো ডকুমেন্ট স্ক্যানের নতুন ফিচার! Jul 01, 2025
img
ছাত্রদল নেতার হাতে প্রাণ গেল কৃষকের Jul 01, 2025
img
আমিরের দিকেও হাত বাড়িয়েছিল মাফিয়া চক্র! Jul 01, 2025
img
১৯ বছর পর আবারও অ্যাওয়ার্ড নাইট চালু করার ঘোষণা দিল বিসিবি Jul 01, 2025
img
ইন্টার মিলানকে হারিয়ে শেষ আটে ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্স Jul 01, 2025
img
জামায়াত ক্ষমতায় এলে হিন্দুরা সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে : রফিকুল ইসলাম Jul 01, 2025
img
গুলশানের হলি আর্টিজান হামলার ৯ বছর আজ Jul 01, 2025
img
বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহর বাগদাদ, ঢাকার অবস্থান ১৪তম Jul 01, 2025
img
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস Jul 01, 2025
img
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় প্রাণ গেল ৯৫ জনের Jul 01, 2025
img
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩১.৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার Jul 01, 2025
img
এনবিআর আন্দোলন: উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে প্রজ্ঞাপনের মিল নেই Jul 01, 2025
img
দেশের ৮ জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস Jul 01, 2025
img
মুন্সীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ১ জনের Jul 01, 2025