‘চিকিরি চিকিরি’—রাম চরণের নতুন ছবি পেড্ডি-র এই গান এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। কিন্তু গানটির তালে যতটা উত্তেজনা, তার চেয়ে বেশি আলোচনা শুরু হয়েছে জানভি কাপুরকে ঘিরে। গানের ভিজ্যুয়াল দেখে অনেকেই বলছেন, জানভির উপস্থিতি এখানে যেন চরিত্রের চেয়ে বেশি পুরুষ দর্শকের দৃষ্টি টানার জন্যই সাজানো।
টেলুগু ছবিতে জানভির এই “গ্ল্যামারাস” উপস্থাপন নিয়ে সমালোচনা নতুন নয়। এর আগেও দেভারা: পার্ট ১-এ তার চরিত্রকে বলা হয়েছিল “অলংকারস্বরূপ”—যেখানে অভিনয়ের সুযোগ ছিল খুবই সীমিত। তুলনায় ম্রুনাল ঠাকুরের নাম এখন ঘুরে ফিরে আসছে আলোচনায়। সীতা রামাম আর হাই নান্না-র মতো ছবিতে ম্রুনাল নিজের চরিত্রে গভীরতা এনে প্রমাণ করেছেন, গ্ল্যামারের বাইরে থেকেও নারী চরিত্র দর্শকের মনে জায়গা করে নিতে পারে।
শ্রীদেবীর কন্যা হিসেবে জানভির ওপর সব সময়ই প্রত্যাশা ছিল বেশি। হিন্দি সিনেমায় তার সম্ভাবনা অনেকবার দেখা গেলেও, তেলেগু ইন্ডাস্ট্রি এখনও তাকে পূর্ণমাত্রায় ব্যবহার করতে পারেনি—এমনটাই বলছেন সমালোচকরা।
এই বিতর্ক শুধু জানভির নয়, বরং দক্ষিণের বাণিজ্যিক সিনেমায় নায়িকাদের উপস্থাপন নিয়েই প্রশ্ন তুলছে। তাদের চরিত্র কি কেবল সৌন্দর্য ও সাজসজ্জায় সীমাবদ্ধ, নাকি গল্পে তারা সত্যিকারের অংশীদার—এই প্রশ্ন এখন সামনে আসছে বারবার।
পেড্ডি এখনও মুক্তি পায়নি। তাই দর্শকরা আশায় আছেন, ছবিতে হয়তো জানভির চরিত্রে দেখা যাবে অন্যরকম গভীরতা। তবু এই বিতর্ক ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন করে ভাবাচ্ছে—নারী চরিত্রকে শুধু চমক নয়, গল্পের মূলস্রোতে জায়গা দিতে হবে।
এসএন