দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি। বিষয়টি সমাধানের জন্য সোমবার (১০ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো ফের সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে শিক্ষকদের। বৈঠকে শিক্ষকদের ১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেবেন।
প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিনিধি দলে আছেন- মো. আবুল কাশেম, শামছুদ্দিন মাসুদ, খায়রুন নাহার লিপি, মাহবুবুর রহমান, আনোয়ারউল্লাহ, আনিচুর রহমান, শাহীনুর আল আমিন, শাহীনুর আক্তার, অজিত পাল, তপন মন্ডল, আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, মোয়াজ্জেম হোসেন শামীম, মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, বিজয় কর্মকার, মনিরুজ্জামান মনির, ছাবেরা বেগম এবং নূরে আলম সিদ্দিকী রবিউল।
রোববার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে সচিবালয়ে সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষক নেতারা কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে পরে শহীদ মিনারে অবস্থানরত শিক্ষক ও নেতাদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিলে সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়।
এর আগে শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে ‘কলম বিসর্জন’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বহু শিক্ষক আহত হন। পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়লে শিক্ষকরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শহীদ মিনার এলাকায় আশ্রয় নেন। সেখান থেকেই শুরু হয় টানা অবস্থান ও কর্মবিরতি কর্মসূচি।
শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো—
১. সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন প্রদান।
২. উচ্চতর গ্রেডের জটিলতার স্থায়ী সমাধান।
৩. সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার। কর্মবিরতির কারণে দ্বিতীয় দিনেও এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সরকার প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে এবং ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এতে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে সহকারী শিক্ষকরা আন্দোলনে নামেন।
টিএম/এসএন