ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। ২৭ বছর বয়সী এক মডেলের রহস্যজনক মৃত্যু। সন্দেহজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয় খুশবু আহিরওয়ার নামের সেই মডেলের মৃতদেহ।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন, খুশবুর প্রেমিক ভোরবেলায় ভৈনসাখেড়ি এলাকার ইন্দোর রোডের একটি হাসপাতালে তাকে রেখে পালিয়ে যান।
চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
জানা গেছে, পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে। গান্ধী মেডিকেল কলেজে পরিবারের সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে করা হচ্ছে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত।
খুশবু আহিরওয়ার যিনি খুশি বর্মা নামেও পরিচিত ছিলেন।
পরিবারের দাবি, তাকে খুন করা হয়েছে।
তাদের অভিযোগ, খুশবুর মুখ, কাঁধ এবং গোপন অঙ্গে আঘাতের চিহ্ন ছিল। খুশবু সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় ছিলেন। ‘ডায়মন্ড গার্ল’ নামে তার একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ছিল যেখানে প্রায় ১২ হাজার ফলোয়ার্স ছিল।
কলেজের প্রথম বর্ষের পর তিনি পড়াশোনা ছেড়ে দেন এবং গত তিন বছর ভোপালই ছিল তার স্থায়ী ঠিকানা। মডেলিং করতেন এবং পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের জন্য পার্টটাইম কাজও করতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কাসিম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন খুশবু। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রেমিকই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং তারপর সেখান থেকে পলাতক। এই ঘটনায় পুলিশ মামলা রুজু করেছে এবং তদন্তও শুরু হয়েছে।
খুশবুর মা লক্ষ্মী আহিরওয়ারের অভিযোগ, তার মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, খুশবুর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল, মুখে ফোলাভাব এবং গোপন অঙ্গেও আঘাত ছিল। আমরা ন্যায়বিচার চাই এবং দোষীর কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে, অভিযুক্ত কাসিম আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত ও খুশবু উজ্জয়িন থেকে ভোপাল যাচ্ছিলেন। পথে ব্যারাগড়ের কাছে খুশবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর তাকে দ্রুত চিরায়ু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কাসিম আগে অবৈধ মদ ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে জেলেও গিয়েছিলেন।
এমকে/এসএন