দুর্নীতির মামলায় আসামি বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান শেখ আব্দুল হান্নানের দুটি ফ্ল্যাট ক্রোক ও দশটি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ক্রোক আদেশ হওয়া ফ্ল্যাট দুটি ঢাকার নিকুঞ্জে অবস্থিত। এছাড়া ফ্রিজ আদেশ হওয়া ১০টি ব্যাংক হিসাবে ৪০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮৩ টাকা রয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. সাব্বির ফয়েজ দুদকের আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সংস্থাটির উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামি এয়ার চিফ মার্শাল সাবেক বিমান বাহিনী প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান শেষে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকালে রেকর্ডপত্র ও জব্দ করা আলামত পর্যালোচনায় দেখা যায়, এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ গোপন করার উদ্দেশ্যে তার শুভাকাঙ্ক্ষি সানজিদা আক্তারের নামে ক্রয় করেছেন এবং এ বিষয়ে সানজিদা আক্তার তাকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি সানজিদা আকতারের নামে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার নিকুঞ্জ-এ ৯৫ লাখ টাকার দুটি ফ্ল্যাট করে দিয়েছেন। এছাড়া, বিভিন্ন ব্যাংকে তার নামে প্রায় ৪৫ লাখ টাকার এফডিআর সংরক্ষিত আছে এবং তল্লাশিকালে তার বাসা থেকে প্রায় ২৬ লাখ টাকার বিভিন্ন দেশের মুদ্রা উদ্ধার করা হয়, যা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে প্রতীয়মান হয়।
তদন্তকালে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সানজিদা আক্তার এসব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্থান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। তদন্ত নিষ্পত্তির পূর্বে নিম্নবর্ণিত সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরবর্তী সময়ে ওই টাকা উদ্ধার করা দুরূহ হয়ে পড়বে। তাই তাদের এসব স্থাবর সম্পদ জরুরি ভিত্তিতে ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করা প্রয়োজন।
আরপি/টিকে