বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চলতি নভেম্বরের শেষ দিকে দেশে ফিরছেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
দেশের একটি গণমাধ্যমের আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, “আমরা আশা করছি এই মাসের শেষ নাগাদ তিনি দেশে ফিরতে পারেন। নাহলে কমপক্ষে দুয়েকদিন এদিক-ওদিক হতে পারে হয়ত, আশা করছি।”
মঙ্গলবার দেশের একটি গণমাধ্যমের ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করা হয়।
২০০৮ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে পরিবার নিয়ে দেশ ছাড়ার পর গত ১৭ বছর ধরে লন্ডনে বসবাস করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক। জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারেকের মামলা জটিলতার অবসান হলেও তিনি ফেরেননি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য গত কয়েক মাস ধরে বলে আসছেন, ‘শিগগিরই’ দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তারিখ বিএনপির পক্ষ থেকে কেউ বলছেন না।
৬ অক্টোবর প্রকাশিত বিবিসি বাংলার এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি কবে দেশে ফিরছেন। উত্তরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “দ্রুতই মনে হয়। দ্রুতই ইনশাআল্লাহ।”
তার কাছে আবারও জানতে চাওয়া হয়েছিল, নির্বাচনের আগে তিনি দেশে থাকবেন কি না।
তারেক রহমান উত্তরে বলেন, “রাজনীতি যখন করি, আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে স্বাভাবিক, নির্বাচনের সাথে রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক কর্মীর একটি ওতপ্রত সম্পর্ক। কাজেই যেখানে একটি প্রত্যাশিত, জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনের সময় কেমন করে দূরে থাকব?
“আমি তো আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে, আগ্রহ থাকবে- সেই প্রত্যাশিত, যে প্রত্যাশিত নির্বাচন জনগণ চাইছে। সেই প্রত্যাশিত নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে, জনগণের সাথে জনগণের মাঝেই থাকব ইনশাআল্লাহ।”
প্রায় দুই দশক ধরে দল ও নির্বাচন পরিচালনায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও তিনি কখনো সরাসরি ভোটের মাঠে প্রার্থী হননি। তবে এবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তারেক রহমান। বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সেই ১৯৯১ সাল থেকে বগুড়া-৭ (গাবতলী ও শাহজাহানপুর) এবং ১৯৯৬ (জুন) সাল থেকে বগুড়া-৬ (সদর) আসনে নির্বাচন করছেন। এ দুটি আসনে তিনি কখনো পরাজয়ের মুখ দেখেননি। মায়ের সেই পুরনো আসনেই প্রার্থী হচ্ছেন তারেক রহমান।
এমআর/টিএ