চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) ওয়্যারলেস বার্তা ফাঁসের ঘটনায় এবার কোনো আনুষ্ঠানিক তদন্ত কমিটি হচ্ছে না। তবে অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপি কমিশনার।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ওয়্যারলেস বার্তা ফাঁসের ঘটনায় আমরা অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। যে বা যারা এর সঙ্গে জড়িত তাকে সাজা পেতে হবে।
চট্টগ্রামে গুলি করে একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সিএমপি কমিশনার আগ্নেয়াস্ত্র বহনকারী এবং অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র ব্রাশফায়ার করার নির্দেশ দেন। ১১ নভেম্বর দুপুরে ওয়ারল্যাস সেটে সিএমপির সব সদস্যদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক মৌখিক আদেশে তিনি টহল ও থানা পুলিশকে একযোগে এ নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
‘ব্রাশফায়ারের’ আদেশের সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘শটগান হবে না, চায়না রাইফেলও বাদ, এখন এসএমজি ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে।’
বেতারবার্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘দেখামাত্র ব্রাশফায়ার নিরস্ত্র জনসাধারণের জন্য নয়।
যার হাতে অস্ত্র নেই, তার ওপর তো আর এসএমজি ইউজ করব না। সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী যারা তাদের জন্য এই নির্দেশনা। আমার এলাকায় ঢুকে প্রকাশ্য দিবালোকে একটা খুন করে গেল। এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে তারা যেন আর সাহস না পায়। এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে চট্টগ্রাম নগরে ঢোকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। তারা যেন স্বপ্নেও এটি কল্পনা করতে না পারে, সেজন্যই এই ব্যবস্থা।’
বার্তায় পুলিশ সদস্যদের দণ্ডবিধি ৯৬ থেকে ১০৬ পর্যন্ত, আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার সব পুলিশ অফিসারের আছে বলে স্মরণ করিয়ে দিয়ে সব দায় কমিশনার বহন করার ঘোষণা দেন। যেকোনো পরিস্থিতি এবং নাশকতা এড়াতে টহল টিমগুলোকে এসএমজি ছাড়াও, শিশা শটগান, দুইটি গ্যাস গান এবং টিম ইনচার্জকে নাইন এমএম পিস্তল বহন করতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১১ আগস্ট বন্দর থানায় সন্ত্রাসীদের হামলা পুলিশের এক উপপরিদর্শক আহত হওয়ার পর সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার, দণ্ডবিধি ৯৬ থেকে ১০৬ পর্যন্ত, সব পুলিশ অফিসারের আছে। অস্ত্র কিংবা কোপ দেওয়ার আগে অস্ত্র বের করা মাত্র গুলি হবে। সরকারি গুলির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’
সেই বার্তা ফাঁসের অভিযোগে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে মামলা করা হয়েছে। ১৭ আগস্ট পুলিশ টেলিকম ইউনিটের সদস্য অমি দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। অমি দাশ এখনো কারাগারে আছেন।
কেএন/টিএ