কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচি ঘিরে চট্টগ্রামে জনমনে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। সড়কে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও কম। সড়কেও পড়েছে এর প্রভাব।
গণপরিবহন চলছে সীমিত পর্যায়ে। বেশিরভাগ বাসেই যাত্রী সংখ্যা হাতেগোনা। ব্যক্তিগত গাড়ির উপস্থিতিও কম।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়ক অনেকটাই ফাঁকা। কয়েকটি গণপরিবহন দেখা গেলেও যাত্রীর সংখ্যা স্বাভাবিক দিনের চেয়ে কম। সাধারণত নিউমার্কেট এলাকায় মানুষের ভিড় থাকে। বিশেষ করে রিয়াজুদ্দিন বাজার কেন্দ্রীক ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের পদচারণায় সরগরম থাকে। তবে আজ সকালে তেমন ভিড় দেখা যায়নি।
এছাড়া কাজীর দেউড়ী, চকবাজার, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ২ নং গেট, জিইসি, ওয়াসা, লালখান বাজার এলাকায় যানবাহনের উপস্থিতি কম দেখা গেছে।
এদিকে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে তল্লাশি করছে পুলিশ। আবার অনেক পথচারীর মোবাইল ফোন নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক তল্লাশি করতে দেখা গেছে পুলিশের সদস্যদের।
নিউ মার্কেট এলাকায় যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় থাকা আবুল কালাম নামে এক রিকশাচালক বলেন, ‘সকাল থেকে যাত্রীর সংখ্যা কম। এখন পর্যন্ত দেড়শ টাকার মতো ভাড়া মেরেছি। অন্যদিন হলে তিনশ থেকে চারশ টাকা ভাড়া হয়ে যেতো।’
আন্দরকিল্লা এলাকায় আনিসুজ্জামান নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সেজন্য আমরাও আতঙ্কে আছি।’
এমকে/এসএন