রাজধানীর শাহ আলীতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগের পর স্থানীয়দের ধাওয়ায় সাইয়াফ (১৮) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। একজন পালিয়ে গেলেও আটক হয়েছেন নাহিয়ান আমির সানি (১৮) নামে আরও এক শিক্ষার্থী। পুলিশ বলছে, রাতে পার্টি দেয়ার চুক্তিতে বাসে আগুন দিতে রাজি হন তিন কলেজ শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে শাহ আলী থানাধীন উত্তর নবাবেরবাগ সোহেল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
শাহ আলী থানা সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে সোহেল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের পশ্চিম পাশে পাকা রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি ফাঁকা বাসে কয়েকজন যুবক প্লাস্টিকের বোতলে কেরোসিন ছিটিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। পরে মোবাইল ফোনে সেই দৃশ্য ধারণ করছিলেন। বিষয়টি আশপাশের লোকজনের নজরে এলে তারা ধাওয়া করে একজনকে হাতেনাতে আটক করেন।
এ সময় তাদের একজন প্রাণভয়ে তুরাগ নদীতে ঝাঁপ দেন এবং অন্য একজন দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। সাঁতার না জানায় নদীতে ঝাঁপ দেয়া যুবক পানিতে ডুবে যান। পরবর্তীতে উপস্থিত লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি স্থানীয়দের হাতে আটক যুবককে হেফাজতে নেয়া হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দারুস সালাম জোনের সহকারী কমিশনার ইমদাদ হোসেন বিপুল জানিয়েছেন, সাইয়াফ নেভাল একাডেমি কলেজের শিক্ষার্থী। আর আটক সানি ইংরেজি মিডিয়াম একাডেমিয়ার শিক্ষার্থী। আর পালিয়ে যাওয়া যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। এই দুজনসহ তিনজন রাতে পার্টি করানোর চুক্তিতে বাসে আগুন দিতে রাজি হন।
ডিএমপির মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, নাশকতামূলক এই ঘটনায় জড়িত পলাতক অপর দুষ্কৃতকারীকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং গ্রেফতার যুবকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এমকে/এসএন