খুশকি ও চুল পড়ার পেছনে কারণগুলো

শীতকালে অনেকেরই মাথার ত্বক শুকিয়ে খুশকি দেখা দেয়, সঙ্গে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু অনেক সময় আমরা বুঝি না, আমাদের কিছু সাধারণ অভ্যাসই মাথার ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। চুল না ধোয়া, অতিরিক্ত ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার বা বারবার স্টাইলিং প্রডাক্ট লাগানো; সব মিলিয়ে ত্বক শুষ্ক, চুলকানি ও খুশকিপ্রবণ হয়ে যায়। তবে কিছু ছোট অভ্যাস বদলালে সমস্যা কমানো সম্ভব।

চলুন, জেনে নিই।

চুল ধোয়ার নিয়ম ঠিক করুন

কাজের চাপের কারণে অনেকেই চুল কয়েক দিন পর পর ধোয়া বাদ দেন। এতে মাথায় তেল, ঘাম ও মৃত কোষ জমে এবং ছত্রাক জন্মায়, যা খুশকির কারণ। স্টাইলিং প্রডাক্টের জমাটও রন্ধ্র বন্ধ করে ত্বকে জ্বালা ও দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।

তাই ত্বকের ধরন অনুযায়ী ধোয়ার রুটিন ঠিক করুন। তেলতেলে স্ক্যাল্পে একদিন পরপর শ্যাম্পু, শুষ্ক স্ক্যাল্পে কিছুটা বিরতি রাখা ভালো।

ড্রাই শ্যাম্পু অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না

ড্রাই শ্যাম্পু সময় বাঁচায়, কিন্তু বেশি ব্যবহার করলে মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কমে যায়। ফলে চুলকানি ও খুশকি বাড়ে।

নিয়মিত চুল ধোয়ার অভ্যাস করুন।

টাইট হেয়ারস্টাইল এড়িয়ে চলুন

চুল শক্ত করে বাঁধলে ত্বকে টান পড়ে এবং রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়। এতে ফোলিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও ত্বক শুষ্ক হয়। তাই চুল নিয়মিত খোলা রাখুন, রাবার ব্যান্ডের বদলে নরম স্ক্রাঞ্চি ব্যবহার করুন।

হিট দিয়ে স্টাইল করা কমান

হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেটনার বা কার্লিং আয়রনের অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে।

চুল শক্ত ও শুষ্ক হয়, খুশকি বাড়ে। হিট টুল ব্যবহার করলে হিট প্রোটেকশন অয়েল লাগান এবং সম্ভব হলে চুল প্রাকৃতিকভাবে শুকাতে দিন।

সুগন্ধযুক্ত প্রডাক্ট এড়িয়ে চলুন

সিনথেটিক ফ্র্যাগরেন্স ও অ্যালকোহলযুক্ত পণ্য ত্বকে অ্যালার্জি ও সংবেদনশীলতা তৈরি করে। তাই অ্যালকোহল, এসেনশিয়াল অয়েল ছাড়া পণ্য ব্যবহার করুন।

জীবনধারায় পরিবর্তন আনুন

অস্বাস্থ্যকর খাদ্য, মানসিক চাপ ও ঘুমের অভাব ত্বকের তেলের ভারসাম্য নষ্ট করে। পর্যাপ্ত পানি পান করুন, পুষ্টিকর খাবার খান এবং স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করুন। এটাই সুস্থ স্ক্যাল্পের মূল চাবিকাঠি।

এমকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
খালেদা জিয়া ভোর ৬টায় মৃত্যুবরণ করেন: ডা. জাহিদ Dec 30, 2025
img
মৃত ঘোষণার সময় বেগম জিয়ার পাশে তারেক রহমানসহ দলের বিশ্বস্ত মুখগুলো Dec 30, 2025
img
বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জামায়াত আমিরের শোক Dec 30, 2025
img
জকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু সকাল সাড়ে ৮টায় Dec 30, 2025
img
৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও দাখিলকারীর সংখ্যা জানাল ইসি Dec 30, 2025
img
বাংলাদেশে এলে মনে হয় দেশেই আছি: সালমান মির্জা Dec 30, 2025
img
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই Dec 30, 2025
img
নিজ বাসভবনে হামলার খবর পুতিনই ফোনালাপে জানিয়েছেন: ট্রাম্প Dec 30, 2025
img
ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি প্রার্থী গ্রেপ্তার Dec 30, 2025
img
দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার বাস্তব চিত্র নিয়ে সোচ্চার পিয়া জান্নাতুল Dec 30, 2025
img
নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে ইরানে হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের Dec 30, 2025
img
ব্যক্তিগত সব পুরস্কার পাওয়ার পর দল ও পরিবারকে দেম্বেলের ধন্যবাদ Dec 30, 2025
img
হবিগঞ্জ-৪ আসনে আলোচিত বক্তা তাহেরীর মনোনয়ন দাখিল Dec 30, 2025
img
শিবাম পণ্ডিত ফিরছেন আরও অন্ধকার রূপে, আলোচনায় ‘আওয়ারাপান টু’ Dec 30, 2025
শান্তি চুক্তির পর ইউক্রেনকে ১৫ বছর নিরাপত্তার গ্যারান্টি যুক্তরাষ্ট্রের Dec 30, 2025
সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাইওয়ান ঘিরে চীনের নতুন রণপ্রস্তুতি ও মহড়া | Dec 30, 2025
ভারতীয় অপারেশন সিঁদুরের জেরে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশ করল পাকিস্তান Dec 30, 2025
ঢাকা-১৭ ও বগুড়া-৬ আসনে তারেক রহমানের মনোনয়নপত্র জমা Dec 30, 2025
এনসিপিতে যোগ দিলেন আসিফ মাহমুদ, অংশ নেবেন না নির্বাচনে Dec 30, 2025
স্মৃতিকাতর সাফা, নেটিজেনদের মন জয় Dec 30, 2025