যুবদল নেতার হামলায় আহত ৩ পুলিশ

ফেনীর পরশুরামে একটি মামলার অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে যুবদল নেতা রাজিব মজুমদারের হামলার শিকার হয়েছেন এক উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) তিন পুলিশ সদস্য।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে পরশুরাম পৌর এলাকার দক্ষিণ কোলাপাড়ার গুনাগাজী মজুমদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- পরশুরাম মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুন্না দে, কনস্টেবল নাজমুল ইসলাম ও রুহুল আমিন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ কোলাপাড়া গুনাগাজী মজুমদার বাড়ির নাসির উদ্দিনের স্ত্রী শেফালি আক্তার পারিবারিক বিরোধ ও মারধরের অভিযোগ তুলে তার প্রতিবেশী বনবিভাগের উপজেলা রেঞ্জ অফিসে কর্মরত ফারুক মিয়া, তার ছেলে যুবদল নেতা রাজিব মজুমদার ও পৌর ৫ নাম্বার ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য সচিব এমাম হোসেন ফয়সালের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে তদন্ত করতে তিন পুলিশ সদস্য সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান ফারুক। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ফারুক ও তার ছেলেরা পুলিশকে ‘তোরা গুন্ডা নাকি’ বলে লাঠি ও ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল ইসলামকে পিঠে ছুরিকাঘাতসহ তাদের পোশাক ছিঁড়ে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তারা। খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান।

আহত উপ-পরিদর্শক মুন্না দে বলেন, একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে গেলে বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। হামলায় জড়িত ফয়সাল ও রাজিবের বিরুদ্ধে মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে।

এ ব্যাপারে ‎পরশুরাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল হাকিম বলেন, পুলিশের ওপর হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

পরশুরাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল হালিম মানিক দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, হামলাকারীরা বিএনপির পদধারী নেতা। পারিবারিক বিরোধের সূত্র থেকেই থানায় অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ তদন্তে যাওয়ার পর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তা আমি শুনেছি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযোগ পেয়ে তদন্তে গিয়েছে। তাদের ওপর হামলা করার বিষয়টি সমর্থন করা যায় না। পুলিশ তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

টিজে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাংলাদেশে এলে মনে হয় দেশেই আছি: সালমান মির্জা Dec 30, 2025
img
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই Dec 30, 2025
img
নিজ বাসভবনে হামলার খবর পুতিনই ফোনালাপে জানিয়েছেন: ট্রাম্প Dec 30, 2025
img
ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি প্রার্থী গ্রেপ্তার Dec 30, 2025
img
দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার বাস্তব চিত্র নিয়ে সোচ্চার পিয়া জান্নাতুল Dec 30, 2025
img
নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে ইরানে হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের Dec 30, 2025
img
ব্যক্তিগত সব পুরস্কার পাওয়ার পর দল ও পরিবারকে দেম্বেলের ধন্যবাদ Dec 30, 2025
img
হবিগঞ্জ-৪ আসনে আলোচিত বক্তা তাহেরীর মনোনয়ন দাখিল Dec 30, 2025
img
শিবাম পণ্ডিত ফিরছেন আরও অন্ধকার রূপে, আলোচনায় ‘আওয়ারাপান টু’ Dec 30, 2025
শান্তি চুক্তির পর ইউক্রেনকে ১৫ বছর নিরাপত্তার গ্যারান্টি যুক্তরাষ্ট্রের Dec 30, 2025
সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাইওয়ান ঘিরে চীনের নতুন রণপ্রস্তুতি ও মহড়া | Dec 30, 2025
ভারতীয় অপারেশন সিঁদুরের জেরে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশ করল পাকিস্তান Dec 30, 2025
ঢাকা-১৭ ও বগুড়া-৬ আসনে তারেক রহমানের মনোনয়নপত্র জমা Dec 30, 2025
এনসিপিতে যোগ দিলেন আসিফ মাহমুদ, অংশ নেবেন না নির্বাচনে Dec 30, 2025
স্মৃতিকাতর সাফা, নেটিজেনদের মন জয় Dec 30, 2025
চট্টগ্রাম রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারাল রংপুর রাইডার্স Dec 30, 2025
img
ফের একসঙ্গে রণবীর সিং ও আলিয়া ভাট, আসছে নতুন ছবি Dec 30, 2025
img
প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন সজল ও অপু বিশ্বাস Dec 30, 2025
img
শাহরুখ সালমান আমিরের পর কে, প্রশ্নে বলিউড? Dec 30, 2025
img
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে হবে: আইজিপি Dec 30, 2025