সদ্য কারামুক্ত সাবেকমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন,যা আল্লাহর অপার করুণা আমরা আওয়ামী লীগ থেকে দুজনই বহিষ্কার হয়েছি। না হলে আজকে আমরা ঘৃণিত হতাম। আমি জেলে গিয়ে দেখেছিসেই বড় বড় কুতুবরা ৫ই আগস্টের আগে যে ভাব ধরত, সে ভাব ধ্বংস হয়ে গেছে। আল্লাহ ভাববাদীদের অহংকারীদের পছন্দ করে না।
শুক্রবার(১৪ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটিতে উপস্থিত কর্মী-সমর্থক-অনুসারীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি কোন দিন কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেব না। কিন্তু বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সাথে আল্লাহর রহমতে একশ ভাগ থাকব। এটা আবার বলছি, আমি শুনেছি বঙ্গবীর বলেছে আপনার এলাকার মানুষ আপনাকে নিয়ে খুব মানসিক কষ্টে আছে। আপনাকে এতো ভালোবাসে, এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে পারব না। যেটা পারব লোভে পড়ব না। স্বার্থের পিছনে ঘুরব না, অন্যায়কে ভয় পাব না। আমরা এখন স্পষ্ট, আমি বলি—বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমের নেতৃত্বেই আমিও কাজ করব, দল করি আর না করি।
তিনি বলেন, আমি ড. ইউনূসের যে পরিষদ তাকে সরকার বলি না। এটাকে সরকার বলি না, এটা হলো পরিষদ। আমি তার বিরুদ্ধে কিছু বলব না। আমি শুধু বলব সে স্থাই পাচ্ছে না, পাবেও না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর পারে নাই । আমরাই তাকে বিপদ গ্রস্থ করেছি। জিয়াউর রহমান কামান দেখে এসেছে পারে নাই। এরশাদ পারে নাই,খালেদা পারে নাই। আরেকজনের নামি আমি নিতে চাই না। একটা খুনও যা হাজারটা খুনও তাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম, লতিফ সিদ্দিকীর স্ত্রী সাবেক এমপি লাইলা সিদ্দিকী, আব্দুল্লাহ বীরপ্রতিক, টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক হিটলু, কালিহাতী উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, বাসাইল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি রাহাত হাসান টিপু, সখীপুর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব, কালিহাতী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ইতহার সিদ্দিকী প্রমুখ।
ইউটি/টিএ