ময়মনসিংহ নগরে এক নারী যাত্রাশিল্পীকে মারধর ও চুল কেটে মুখে কালি মাখিয়ে নির্যাতনের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় বিভিন্ন মহলে। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা করেছেন। পরে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম শাহ আলম (৪০)। তিনি চরকালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। দুই পরিবারের মাঝে বিরোধ ও মামলার জের ধরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তবে নির্যাতনে বিষয়টি কোতোয়ালি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
নির্যাতনের শিকার যাত্রা নৃত্যশিল্পীর নাম মোছা. রূপা। তিনি নগরের বড় কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। তবে তারা নগরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
পুলিশ জানায়, দুটি পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই মামলা আছে। মামলার আসামিরা কেউ কেউ জামিনেও আছেন। নতুন একটি মামলাতেও বুধবার তদন্ত করে পুলিশ। ওইদিনই প্রতিপক্ষ রাস্তায় রূপাকে আটকে নির্যাতন চালায়। আলোচিত মামলা তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ জামেলী বলেন, ওই নারীকে বেঁধে চুল কেটে মারধর করা হয়েছে, মুখে কালি মেখে দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিতা রূপা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এলাকায় চাঁদাবাজির শিকার। তার ছেলেও এ বছর অপহরণ হয়। এর আগে তার বাড়িও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনা নিয়ে কোতোয়ালি থানায় একাধিক মামলা আছে। এসব ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শাহ আলম সম্প্রতি জামিন পান।
রূপার করা ভাঙচুর মামলার তদন্ত করতে পুলিশ গত বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ চলে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষ রাস্তায় রূপাকে ধরে নিয়ে বেঁধে মারধর করে, চুল কেটে ও মুখে কালি মেখে হেনস্তা করে। এ সময় তার সামনে মাদক ও টাকা রেখে ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে রূপার স্বামী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
রূপা বলেন, পুলিশ চলে যাওয়ার পরই তার ওপর এমন নির্যাতনে ঘটনা ঘটে। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবিরুল ইসলাম বলেন, মামলা তদন্ত করে পুলিশ ফিরে আসার পর ওই নারীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে এবং একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।
এসএস/টিএ