বিহার জয়ের পর এবার পশ্চিমবঙ্গ দখলের ইঙ্গিত মোদীর

বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ থেকে জঙ্গলরাজ উপরে ফেলে দেবে। এমনটাই মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিহার বিধানসভায় এনডিএ জোটের এই বিপুল জয়ের পর এবার পশ্চিমবঙ্গ দখলের হুংকারও দিলেন তিনি।

গত শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতে দিল্লির বিজেপির সদর দপ্তরে বিজয় উৎসবের ভাষণ দিতে গিয়ে বিহার জয়ের পর এবার তাদের লক্ষ্য যে পশ্চিমবঙ্গ তা বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপির সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে বিহারের মানুষকেও ধন্যবাদ জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গ জয়ের পথ প্রশস্ত করে দিল বিহার। বিহারে আর কখনো জঙ্গলরাজ ফিরবে না। এই জয় বিহারের সেই মা-বোনদের জয়। যারা দিনের পর দিন জঙ্গলরাজ সহ্য করেছে। বিহার দেখালো মিথ্যার হার হয়। বিশ্বাসের জয় হয়।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কর্মীরাই এই সাফল্যের কারণ। আজকের এই ফলাফলে কেরালা, তামিলনাড়ু, পদুচেরি, আসাম, পশ্চিমবঙ্গের কর্মীদের মধ্যে নতুন উৎসাহ দেখা দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণে বিহারের জঙ্গলরাজের কথা উল্লেখ করে আরজেডি এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ করলেও তার বক্তব্যে পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন।

পশ্চিমবঙ্গের দলীয় কর্মীদের বার্তা দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, গঙ্গা নদী বিহার থেকে বয়ে পশ্চিমবঙ্গে যায়। বিহার পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির জয়ের রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ভাই-বোনদের আশ্বস্ত করছি। আপনাদের সঙ্গে মিলে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ থেকেও জঙ্গলরাজ উপরে ফেলবে।

নরেন্দ্র মোদীর এই বক্তব্যের পর তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, বিহার জয়ের উচ্ছ্বাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলা নিয়ে যে ধরনের মন্তব্য করেছেন জেনে রাখেন ‘সে আশায় গুড়ে বালি’। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ জয় করবে এটার মানে হচ্ছে-কুঁজোরও ইচ্ছা হয় চিত হয়ে শোওয়ার, আর গামছারও ইচ্ছা হয় ধোপার বাড়ি যাওয়ার।

গত শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। এতে ২৪৩ টি আসনের মধ্যে ২০২টি আসনে জয়ী হয়েছে এনডিএ। আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের (এমজিবি) জোটের কপালে জুটেছে সব মিলিয়ে মাত্র ৩৫ টি আসন।

টিজে/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাতেই সম্পর্কের দৃঢ়তা: রণবীর Nov 15, 2025
img
আগামী পাঁচদিন যেমন থাকবে আবহাওয়া পরিস্থিতি Nov 15, 2025
img
গুরুতর চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লেন শুবমান গিল Nov 15, 2025
img
আমি অন্য কারও মতো হতে চাই না: শ্রেয়া ঘোষাল Nov 15, 2025
img
‘সরকার পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল না’, সিএনএন-নিউজ এইটিনকে হাসিনা Nov 15, 2025
img
একটি দল ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে : জসিম উদ্দিন Nov 15, 2025
img
শুরু হলো ফারিণের জীবনের নতুন অধ্যায়! Nov 15, 2025
img
জীবনটাই এক ধরণের ‘ছেড়ে দেওয়ার’ অনুশীলন: ইরফান খান Nov 15, 2025
img
ইতিহাস বিকৃতি এই দেশের মানুষ কখনো মেনে নেবে না : সোহেল তাজ Nov 15, 2025
img
রাজনীতিতে স্বচ্ছতা না থাকলে নানা সংশয় তৈরি হয়: জিল্লুর রহমান Nov 15, 2025
img
পরিবার শুধু রক্তের সম্পর্ক নয়: সিদ্ধার্থ মালহোত্রা Nov 15, 2025
img
ভালোবাসার আসল রূপ ছোট ছোট যত্নের মধ্যে: আনুশকা শর্মা Nov 15, 2025
img
ধানমণ্ডিতে মারধরের শিকার সেই নারী গ্রেপ্তার Nov 15, 2025
img
বিহার জয়ের পর এবার পশ্চিমবঙ্গ দখলের ইঙ্গিত মোদীর Nov 15, 2025
img
জীবনের ১ম নায়িকা মা: বোমান ইরানি Nov 15, 2025
img
১৬ বছর পর রাজস্থান রয়্যালসে জাদেজা Nov 15, 2025
img
শেষ পর্যন্ত ১ম টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন জশ হ্যাজলউড Nov 15, 2025
img
বাংলাদেশে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা : ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদন Nov 15, 2025
img
আবার বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উৎপাদন বাড়তে পারে Nov 15, 2025
img
মন্টি আপুর সাথে সম্পর্ক নিয়ে তো প্রশ্ন উঠে না, জাহানারার উদ্দেশে জ্যোতি Nov 15, 2025