ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ দিনের সামরিক মহড়ার পরিকল্পনাকে অবিবেচক ও উত্তেজনাকর বলে আখ্যায়িত করেছেন। রবিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এই মহড়াকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি।
শনিবার কারাকাসের পূর্বাঞ্চলীয় পেতারে অঞ্চলে সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় মাদুরো বলেন, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর জনগণই দেখবে তারা তাদের ভূমি ও জলসীমা ব্যবহার করতে দেবে কি না। কারণ এটি ক্যারিবিয়ানের শান্তির জন্য গুরুতর হুমকি।
সম্প্রতি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র দ্বীপরাষ্ট্রটিতে সামরিক অনুশীলন জোরদার করবে। ভেনেজুয়েলার উপকূল থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের এমন বাড়তি উপস্থিতি মাদুরো সরকার উদ্বেগের সঙ্গে দেখছে।
গত মাসেও যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে একটি গাইডেড-মিসাইল ধ্বংসজাহাজ পাঠিয়েছিল। এটিকে ভেনেজুয়েলা সামরিক উসকানি বলে উল্লেখ করেছিল।
তবে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী শন সোবার্স শুক্রবার বলেন, আসন্ন সামরিক মহড়া কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের পূর্বাভাস নয়, বিশেষ করে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে নয়।
এদিকে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম নিয়ে বিশ্বব্যাপী কিছুটা উদ্বেগ দেখা গেলেও দেশটির প্রধানমন্ত্রী কামলা পারসাদ-বিসেসর মার্কিন উপস্থিতিকে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বহুদিন ধরেই মাদুরোর সঙ্গে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়িত।
আরপি/টিকে