গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের রায় ঘোষণা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, যত বড় নেতা হোন না কেন আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন। অপরাধ করলে শাস্তি পেতেই হবে। এখন ভারতকে দণ্ডিত শেখ হাসিনাকে দ্রুত ফেরত দিতে হবে। কারণ বাংলাদেশের আইন ও সংবিধান অনুসরণ করেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খাঁন আরও বলেন, এই রায় ঘোষণার পর যদি মোদি সরকার মনে করে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক না রেখে শুধু হাসিনা ও তার দলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে, তাহলে ভারত সরকারকে বলছি আপনারা চাইলে আওয়ামী লীগকে পুরোপুরি ভারতে নিয়ে যান এবং তারা সেখানে গিয়ে রাজনীতি করুক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কোনো রাজনীতি করার অধিকার নেই। আগামী পঞ্চাশ বছরেও আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ফিরতে পারবে না। এ দেশের ছাত্রজনতা যারা রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে তারা আর কোনোদিন আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দেবে না।
ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে বলে রাশেদ খাঁন বলেন, আজ একটি ঐতিহাসিক দিনে হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে। এতে দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরে এসেছে। তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। আওয়ামী লীগের নিরীহ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন হাসিনার ফাঁদে পা দেবেন না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাশেদ খাঁন বলেন, শেখ হাসিনার গণহত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। গণসংযোগে গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি প্রভাষক মো. সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রিহান হোসেন রায়হান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসএন