দীর্ঘ দিন ধরে বক্স অফিসের অঙ্কই ছিল দীপিকা পাড়ুকোনের সাফল্যের মাপকাঠি। কিন্তু সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, সেই দৌড় থেকে তিনি নিজেকে সরিয়ে এনেছেন। এখন আর শত-কোটি বা পাঁচশ-কোটি টাকার ছবি তাঁর কাছে লক্ষ্য নয়; তিনি খুঁজছেন সত্যিকারের গল্প, নিজের মূল্যবোধের সঙ্গে মিল থাকা কাজ এবং মানসিক সুস্থতা রক্ষার সুযোগ।
হার্পারস বাজারকে দেওয়া খোলামেলা আলাপে দীপিকা বলেন, বড় অঙ্কের ছবির লোভ তাঁকে আর টানে না। কেউ কেউ মনে করেন, বেশি পারিশ্রমিক দিলেই শিল্পীকে পাওয়া যায়-কিন্তু তাঁর কাছে সেই হিসাব আর চলে না। তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, ছোট বাজেটের প্রকল্পও তিনি সমর্থন করবেন যদি গল্পে সততা থাকে, চরিত্রে গভীরতা থাকে।
শুধু অভিনয় নয়, পর্দার পেছনের শক্তি বাড়াতেও মন দিচ্ছেন তিনি। নতুন লেখক, তরুণ নির্মাতা ও উদীয়মান প্রযোজকদের পাশে দাঁড়িয়ে শিল্পকে ভেতর থেকে বদলে দিতে চান। তাঁর মতে, ভালো গল্প তৈরি হয় তখনই, যখন স্রষ্টারা যথাযথ সম্মান ও স্বাধীনতা পান।
সাক্ষাৎকারে উঠে আসে বলিউডের কঠোর কর্মসংস্কৃতি নিয়েও তাঁর ক্ষোভ। দীপিকার ভাষায়, অতিরিক্ত কাজকে স্বাভাবিক ধরা এক ধরনের বিষাক্ততা, যা বার্নআউটের জন্ম দেয়। মানসিক স্বাস্থ্য এবং ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য এখন তাঁর কাছে অগ্রাধিকারের জায়গায়। কাজের প্রতিযোগিতায় ক্লান্ত শরীর-মনকে ঢেকে রাখা তাঁর কাছে আর কোনো বীরত্ব নয়।
সব মিলিয়ে, সাফল্যের সংজ্ঞা নতুন করে লিখছেন তিনি-যেখানে অঙ্ক নয়, মুখ্য হয়ে উঠছে সততা, আত্মিক শান্তি এবং সৃষ্টিশীলতার প্রতি অঙ্গীকার।
টিজে/এসএন