তামিল সিনেমায় তার প্রথম অভিষেকের প্রমোশনাল ইভেন্টে ভাগ্যশ্রী বোর্স রূপে এক সহজ-সহজিন্দা মানুষ ছিলেন, কিন্তু তার কথাগুলো বলেছিলেন গভীর মন নিয়ে। কান্তা ছবির প্রচার পরিভ্রমণে দক্ষিণ ভারতীয় পর্দার নতুন প্রজন্মের মুখ হিসেবে উজ্জ্বল আলোয় দাঁড়িয়ে, ভাগ্যশ্রী এক অপ্রত্যাশিত বিশ্বাসভঙ্গের সঙ্গে নিজের মূল্যবোধ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বললেন — “আমি শুধুমাত্র প্রিয় মানুষের সঙ্গে বিবাহ করব।”
তার কথাগুলো ছিল চরম স্পষ্ট: পারিবারিক বাধবিপত্তি বা সামাজিক দাবির চাপে নয়, ভালোবাসার মানুষেই তার বিয়ের স্বপ্ন গড়া। একাধারে তার আত্মবিশ্বাস এবং ন্যায্যতার ভাষণ ভক্তদের মন ছুঁয়ে গিয়েছিল।
ভাগ্যশ্রীর ব্যক্তিগত জীবনে যেসব গুঞ্জন ছিল, সেগুলোর মাঝেও তিনি পুরোপুরি পরিষ্কার থাকলেন। তিনি জানালেন, “আমি এখন একা, কিন্তু আমি ভালোবাসায় বিশ্বাস রাখি।” এই সরল স্বীকারোক্তি দেখায়—তার জীবনে এখনো প্রেমের জন্য জায়গা আছে, এবং সে তার মনখোলা দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখেছেন।
দর্শক এবং ভক্তরা ইতিমধ্যেই ভাগ্যশ্রীকে তার কাজের জন্য পছন্দ করছিলেন — তার অভিনয়, মাধুর্য, এবং সামনের পর্দায় উপস্থিতি সবই প্রশংসিত। কিন্তু এই মানবিক রূপ এবং তার মূল্যবোধে দৃঢ় অবস্থান এক নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। তাঁর স্পষ্টভাবে বলা কথাগুলো দেখায়—তার পছন্দ শুধুমাত্র পারফর্মেন্স নয়, জীবনের গভীর দৃষ্টিকোণ থেকেও আসে।
এটি বোঝায়, ভাগ্যশ্রী শুধু একটি অভিনেত্রী নন; তিনি এক শক্তিশালী, বিশ্বাসী মানুষ, যিনি নিজের আদর্শ মেনে চলতে ভয় পান না। তার জীবনের এমন দৃষ্টিভঙ্গি সঙ্গে, তিনি কেবল দক্ষিণী পর্দাতেই নয়, ভক্তদের হৃদয়েও এক অনন্য জায়গা দখল করতে শুরু করেছেন।
এসএন