পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ‘ফোর স্টার’ গ্রুপের দুই সদস্যের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডে আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন পাতা সোহেল ওরফে মনির হোসেন ও সুজন ওরফে বুকপোড়া সুজন। এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্লবী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ হানিফ তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর এই মামলায় আসামি জনি ভূঁইয়া আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গোলাম কিবরিয়া মাঝেমধ্যে সময় পেলে পল্লবী থানাধীন সেকশন-১২, ব্লক-বি এর ১৭১ নং হাউসের ছয়তলা বিল্ডিংয়ের নিচতলায় বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি দোকানে বসে দোকান মালিক তার বন্ধু মাসুদ রানার সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন। পূর্বের ন্যায় সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই দোকানে কথা বলার সময় ৬টা ৪২ মিনিটের দিকে সোহেল এবং মাসুমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পূর্ব পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দিলে জনি ভূঁইয়া, সোহাগ, রোকনরা দোকানে অতর্কিতভাবেভাবে প্রবেশ করে কেউ কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই গোলাম কিবরিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা পিস্তল দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি গুলি করে।
গোলাম কিবরিয়া রক্তাক্ত অবস্থায় দোকানের ফ্লোরে পড়ে গেলে আসামিরা তাদের হাতে পিস্তলসহ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তারা পালানোর চেষ্টাকালে স্থানীয় লোকজন জনিকে আটক করে এবং অন্যান্য আসামিরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় রিকশাচালক মো. আরিফের রিকশায় ওঠে। রিকশাচালককে দ্রুত রিকশা চালাতে বলে। রিকশাচালক দ্রুত রিকশা না চালাতে পারলে আসামিরা তাকেও গুলি করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
আশপাশের লোকজন গোলাম কিবরিয়াকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় চিকিৎসার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রিকশাচালক আরিফ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাবিহা আক্তার দিনা বাদী হয়ে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়।
ইউটি/টিএ