আশির দশকের কথা। তখন সমাজ থেকে শুরু করে সিনেমা দর্শকরা, বেশ কিছুটা পুরনো ধ্যান ধারণাতেই বিশ্বাসী ছিলেন। আর ঠিক সেই সময়ই একের পর এক সাহসী পোশাক, সাহসী লুকে ঝড় তুলেছিলেন সুচিত্রা সেন কন্যা মুনমুন সেন।
টলিউড-বলিউড দুই জায়গাতেই দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করেছেন তিনি। সবার নজরের কেন্দ্রে রাতারাতি জায়গা করে নিয়েছিলেন মুনমুন।
সুচিত্রা সেনের মেয়ে হওয়ায় তুলনার মুখেও তাকে কম পড়তে হয়নি, তবে সুচিত্রা সেন বরাবরই ছিলেন বেশ খোলা মনের মানুষ। পরিবারের ক্ষেত্রে তেমন কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া নিয়মে বিশ্বাসী ছিলেন না তিনি। তাই মুনমুনের পোশাকের ক্ষেত্রেও তেমন কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি অভিনেত্রী।
মুনমুন বরাবরই তাই এসব নিয়ে খুব একটা ভাবেননি। যদিও দর্শকরা কে কী বলছে তা ঠিকই কানে পৌঁছে যেত। তার হিন্দি সিনেমা ‘আন্দার-বাহার’ নিয়ে তদ্রূপ ছিল তুঙ্গে। মুনমুন সেন বরাবরই এই বিষয় স্পষ্ট উত্তরই দিয়ে এসেছেন।
ওই সময় ডিডি বাংলায় এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, খোলামেলা পোশাক বলতে সুইমিং স্যুট। তবে তিনি তো তা বরাবরই পরতেন। কারণ সুচিত্রা সেন তাকে সাঁতারে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন। তাই তার কাছে এই জাতীয় পোশাক খুব একটা অস্বস্তিকর ছিল না।
মুনমুন এদিন বলেন, ‘মা কোনওদিন সেভাবে পোশাক নিয়ে আমায় কিছু বলেননি, আমি সাঁতার শিখতাম, তাই একটা শর্ট, একটা খোলামেলা পোশাককে আমার সাহসী বলে মনে হয়নি। যে যাই বলুক, সরাসরি আমায় এসে কেউ কিছু বলতেন না।’
তবে মুনমুনের বোল্ড দৃশ্য বারবার সেই সময় খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল। তাকে নিয়ে আলোচনা ছিল তুঙ্গে। যদিও সব চরিত্রতেই যে তিনি নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন, ইন্ডাস্ট্রিতে থাকার কিছুদিনের মধ্যেই প্রমাণ করে দিয়েছিলেন নিজের অভিনয় দিয়ে।
আরপি/এসএন