নানা কারণেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে মেঘনা আলম। চলতি বছর ৯ এপ্রিল রাতে তাকে রাজধানীর নিজ বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী, পরদিন ১০ এপ্রিল রাতে আদালত মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন। নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনা নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।
পরে চাঁদাবাজি মামলায় মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরবর্তীতে এই মডেল এপ্রিলের ২৮ তারিখ জামিন পান।
এরপর থেকে আলোচিত এই মডেল সামাজিক মাধ্যমে নানা ইস্যুতে সরব থাকছেন। আজ এক ফেসবুক পোস্টে বললেন, সারাজীবন মানুষ আমাকে ইউনূস এর মেয়ে বলে ডেকে এসেছে।
পোস্টের শুরুতেই মেঘনা আলম বলেন, যেসব মূর্খ, গুজব প্রচারকারী, দুর্নীতিবাজ চরিত্রহীন, টাকার জন্য নিজের দেশের ইমেজ ও নাগরিকের ইমেজ বিক্রির চক্রান্তকারী, প্রভুর দোষ লুকাতে মেঘনা আলমকে আওয়ামী দোষর হিসেবে বানোওয়াট উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে, তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা।
তিনি বলেন, আমার সাথে এরকম ঘনিষ্ঠ ছবি কোনো আওয়ামী নেতার নেই, একসাথে কোথাও মিট করা, বিদেশ ভ্রমণ করার হিসাব ও প্রফেসর ইউনুস ছাড়া আর কারো সাথে নেই । সারাজীবন মানুষ আমাকে ইউনূস-এর মেয়ে বলে ডেকে এসেছে, বাস্তবে বাম পন্থী আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক স্বনামধন্য লিডারদের পরিবারের মেয়ে হয়েও, আমি সারা পৃথিবীর সাথে প্রফেসর ইউনুস এর হয়ে লড়াই করেছি।
মেঘনা আলম মিস আর্থ বাংলাদেশ ২০২০-এর মুকুট অর্জন করেন এবং একই বছর বাংলাদেশকে মিস আর্থ ২০২০ প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো প্রতিনিধিত্ব করেন।
তিনি মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন-এর চেয়ারপার্সন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
কেএন/এসএন