৫১ বছর পর ফিফা বিশ্বকাপে হাইতি

৫১ বছরের খরা কাটিয়ে ফিফা বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে দ্বীপ দেশ হাইতি। এমন অর্জনে উচ্ছসিত ইন্টার মায়ামিতে খেলা দেশটির ফুটবলার ফাফার। তার প্রত্যাশা মূল পর্বেও ভালো করবে হাইতি। ১ কোটি কিছু বেশি জনসংখ্যার দেশের এমন অর্জন উচ্ছ্বসিত করছে নতুন প্রজন্মকে।বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পেরে উৎসব থামছে না পানামায়ও।

ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতি। জনসংখ্যা ১কোটির কিছুটা বেশি। ছোট্ট দেশ, জনসংখ্যায়ও কম। তবে স্বপ্নটা বড়। সেই স্বপ্ন ছুতে কমতি ছিল না চেষ্টার। আর চেষ্টা করে গেলে যে হতাশ হতে হয় না, সেটাই প্রমাণ করলো হাইতি।



বিশ্বকাপের মূলপর্ব নিশ্চিতের ম্যাচে নিকারাগুয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে হাইতি। সেই ম্যাচ তারা জিতে ২-০ ব্যবধানে। এরপর হাইতি ছাপিয়ে গোটা বিশ্বে থাকা হাইতি সমর্থকরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ৫১ বছর পর বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হলো হাইতিয়ানদের। আর্থিকভাবে খুব বেশি সচ্ছল নয় দেশটি। তবে আছে ফুটবলের প্রতি একাগ্রতা। যার মধ্য দিয়ে বিশ্বমঞ্চে জায়গা করে নিয়েছে দেশটি।

এমন অর্জন যেভাবে সমর্থকদের উচ্ছ্বসিত করেছে, ঠিক একইভাবে গর্বিত করেছে ফুটবলারদের। হাইতির বংশোদ্ভূত ইন্টার মায়ামির ফুটবলার ফাফা পিকাউল্ট জানালেন তার অনুভূতি।

তিনি বলেন, ‘খুবই আনন্দিত, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। শুধু হাইতিতে এখন যে উৎসব চলছে শুধু তার জন্য নয়। আমরা দীর্ঘদিন বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারছিলাম না। এটা আমাদের সবার জন্য গর্বের বিষয়। দেশের এবং আমার পরিবারের জন্যও। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক খুশি। আমার দাদা দেশের জন্য ফুটবল খেলেছে। অনেক লড়াই করতে হয়েছে আমাদের। অবশেষে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হলো।আমাদের এখন বিশ্বকাপে কীভাবে ভালো করা যায় সেই ব্যাপারে মনোযোগ দিতে হবে।’

এই অর্জন শুধু উৎসবের নয়। পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়েও ভাবতে শুরু করেছে হাইতি। বিশ্বকাপে খেলতে পারা আত্মবিশ্বাস দিবে নতুন প্রজন্মকে। তরুণরা উৎসাহী হবে ফুটবল খেলায়।

একই অবস্থা পানামায়। এল সালেভেদরকে হারিয়ে তারা নিশ্চিত করেছে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট। জাতীয় দলের অর্জনের পর উচ্ছ্বাস যেন থামছেই না দেশটিতে।

দেশটির রাজধানী পানামা সিটিতে সমর্থকরা রাস্তায় বেরিয়ে এসে নেচে গেয়ে উদযাপন করেন বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়া। সবার প্রত্যাশা বিশ্বকাপের মূল পর্বেও ভালো করবে পানামা।

এমআর/টিকে 


Share this news on:

সর্বশেষ

img
অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে অনফিল্ড আম্পায়ারের ভূমিকায় সৈকত Nov 20, 2025
img
এটি সত্যিই ভয়ংকর এবং আমাদের দেশের জন্য বিপজ্জনক: ডোনাল্ড ট্রাম্প Nov 20, 2025
img
প্রস্রাব করা নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল বিএনপি নেতার Nov 20, 2025
img
অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ৮.৩৩ শতাংশ Nov 20, 2025
img
পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন দিব্যাভারতী Nov 20, 2025
img
নিজ এলাকায় গণসংযোগ করেছেন নুরুল হক নুর Nov 20, 2025
img
সোনার দাম ভরিতে কমলো ১৩৫৩ টাকা Nov 20, 2025
img
ভোলা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী আর নেই Nov 20, 2025
img
বাসায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা নিয়ে রাফিয়ার প্রতিক্রিয়া Nov 20, 2025
img
দেশে দুজন দরবেশ আছে, আদালতকে অ্যাটর্নি জেনারেল Nov 20, 2025
img
নাগরিকদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে কাজ করছে সরকার : ফাইজ আহমেদ Nov 20, 2025
img
বিএনপি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে : টুকু Nov 20, 2025
img
শুটিংয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্তে এনএসসির কমিটি গঠন Nov 20, 2025
img
আইসিটি প্রসিকিউশনে বৈশ্বিক অ্যাম্বাসেডর ও উপদেষ্টা নিয়োগ সরকারের Nov 20, 2025
img
প্রেক্ষাগৃহে ফ্লপ, নেটফ্লিক্সে নতুন জীবন পাবে ‘কান্তা’ Nov 20, 2025
img
তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল Nov 20, 2025
img
তারেক রহমান আছে যত দিন, দেশ পথ হারাবে না তত দিন : মনিরুল Nov 20, 2025
img
অধিনায়ক হয়েও টানা দুই ম্যাচে দলে নেই সাকিব Nov 20, 2025
img
১৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া নিয়ে এবার নোটিশ জারি করেছে মাউশি Nov 20, 2025
img
বেরোবি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা Nov 20, 2025