পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে গুলি করে শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুন হত্যা মামলায় চার আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিরা হলেন– শ্যুটার মো. ফারুক হোসেন ফয়সাল, শ্যুটার রবিন আহম্মেদ পিয়াস, মো. রুবেল ও শামীম আহম্মেদ।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) রাতে ঢাকা, নরসিংদী ও সিলেটে একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে ফারুক, রবিন, শামীম, রুবেল ও ইউসুফকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে দু’টি বিদেশি পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি, দু’টি ম্যাগাজিন, দু’টি মোটরসাইকেল ও ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোতয়ালী জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক কৃষ্ণ কুমার দাস মোহাম্মদপুর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন।
পরদিন বুধবার (১২ নভেম্বর) এ মামলায় তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত রোববার মামুন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড নেওয়া হয়।
রিমান্ড শেষে আজ চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামি ফারুক হোসেন ফয়সাল, রবিন আহম্মেদ পিয়াস, মো. রুবেলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এজন্য তাদের পৃথক তিন আদালতে নেওয়া হয়। তবে তারা জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর এই তিন আসামিসহ শামীমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আদালতের প্রসিকিউশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু বকর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুরান ঢাকার আদালত পাড়ার কাছে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ফটকে ১০ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে গুলি করে হত্যা করা হয় মামুনকে। মামুনের স্ত্রী বিলকিস আক্তার রীপা শনিবার ঢাকার সূত্রাপুর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। সেই মামলার বিবরণে বলা হয়, কতিপয় দুষ্কৃতিকারী’ দিনে-দুপুরে জনসম্মুখে মামুনকে গুলি করে হত্যা করে।
আরপি/এসএন