নারায়ণগঞ্জ শহর ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় ভূমিকম্পে অর্ধশতাধিক ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে, এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তাড়াহুড়ো করে বের হতে নিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হলে এর প্রভাবে ফাটল দেখা দেয়।
নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া, সিদ্ধিরগঞ্জের আটি হাউজিং ও আশপাশের এলাকার অর্ধশতাধিক ভবনে ফাটল এবং একাধিক বিল্ডিং হেলে পড়ে।
সিদ্দিকিয়া মাদরাসার একটি দেয়াল ধসে পড়ে। আটি হাউজিং এলাকার ৫ নং রোডের দুইটি ও দুই নং রোডের একটি বাড়ির ওপর আরেকটি হেলে পড়ার মতো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা সৃষ্টি হয়।
ভূমিকম্পের সময় সিটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল হিরাঝিল শাখায় ভেনাস এডুকেশন সোসাইটির আয়োজনে বৃত্তি পরীক্ষা চলছিল। বিভিন্ন স্কুলের ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত ছিল।
স্কুলের ইনচার্জ আব্দুর নূর ও ডে কেয়ার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন দ্রুত শিক্ষার্থীদের নিরাপদে সরিয়ে নেন। এক শিক্ষক বলেন, প্রতিটি বাচ্চাকে নিরাপদে বের করে নিয়ে আসতে পেরেছি, এটাই আলহামদুলিল্লাহ।
এদিকে, ভূমিকম্পের সময় আদমজী ইপিজেডের ভেতর বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। এ সময় অনন্ত ওয়াশিং লিমিটেডের ৬ জন মহিলা ও সিম্বা ফ্যাশন লিমিটেডের ১ জন পুরুষ শ্রমিক আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তাদের প্রথমে বেপজা মেডিক্যালে নেওয়া হয়। সেখানে চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়। বাকি তিনজনকে চিকিৎসার জন্য খানপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যার খানপুর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাশার জানান, আদমজি ইপিজেডের তিনজন শ্রমিকসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার মোট সাতজন আতঙ্কগ্রস্ত রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এ ঘটনায় বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ারস জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরিফিন জানান, অন্যান্য জেলার তুলনায় নারায়ণগঞ্জে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে। তবে সিদ্ধিরগঞ্জ হিরাঝিল ও ইপিজেড বেশ কিছু ভবনে ফাটল এবং হেলে পড়া লক্ষ করা গেছে। এর প্রকৃত সংখ্যা যদিও আমাদের নিশ্চিত করে জানা নেই।
টিজে/টিকে