নিজের আবেগ, অন্তর্দ্বন্দ্ব আর দীর্ঘদিনের তারকাজীবনের চাপ- সবটাই এক নিঃশ্বাসে খুলে বললেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
এক আড্ডায় তিনি বলেন, “আমি বাচ্চাদের মতো ইমোশনাল। আমাকে কেউ বকাবকি করলে, নিতে পারি না। তবে ছেলেদের একটা দায়িত্ব থাকে বলে হয়তো, কান্নাটা তাঁরা প্রকাশ্যে আনতে পারেন না। বা কষ্টটাকে প্রকাশ্যে আনতে পারেন না। কারণ অনেকেই তাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তবে আমাকে আমার মতো থাকতে দাও ব্যাপারটা তো আছেই।”
তার এই কথায় স্পষ্ট, দীর্ঘ অভিনয়জীবন তাকে যতটা শক্ত করেছে, ততটাই নরম রেখেছে ভেতরে। তিনি স্বীকার করেন, মানুষের ধারণার আড়ালে পুরুষের আবেগ লুকিয়ে যাওয়াই যেন সমাজের অভ্যাস। কিন্তু তার নিজের ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন- তিনি নিজেকে যেমন, ঠিক তেমনভাবেই থাকতে চান।
প্রসেনজিৎ দীর্ঘদিন ধরে বাংলা সিনেমার আস্থার নাম। পর্দার শক্তিশালী চরিত্রের আড়ালে তার যে নরম, সহজ, অনুভূতিপ্রবণ দিক রয়েছে- এ কথা তিনি বহুবার বললেও, এবার তা আরও গভীরভাবে ফুটে উঠল। তিনি মনে করেন, আবেগ প্রকাশ দুর্বলতা নয়; বরং নিজের সঙ্গে সত্য থাকা।
শিল্পীর জীবনে নিরন্তর চাপ, মানুষের প্রত্যাশা, জনপ্রিয়তার দায়- সবকিছু মিলে কখনো কখনো মানসিক ভার হয়ে দাঁড়ায়। সেই অবস্থায় নিজের ভেতরকার অনুভূতি চেপে রাখা যে কতটা কঠিন, সেটা তিনি খোলামেলাভাবেই তুলে ধরেছেন। তার এই মন্তব্যে অভিনয়জগতের মানুষজনও নিজেদের বহু অপ্রকাশিত অনুভূতির প্রতিধ্বনি খুঁজে পেয়েছেন।
প্রসেনজিতের বক্তব্য যেন সমাজকে মনে করিয়ে দেয়, পুরুষের কান্নাও স্বাভাবিক, মানবিক, এবং গ্রহণযোগ্য। আলোঝলমলে দুনিয়ার পিছনে থাকা এই মানবিক সত্তাই তাকে আজও দর্শকের কাছে বিশেষ করে রাখে।
কেএন/টিএ