উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং এনসিপি নেতাদের দুর্নীতির প্রমাণ ফাঁস করার হুমকি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি থেকে (এনসিপি) স্থায়ীভাবে অব্যাহতি পাওয়া কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘একটু চুপ আছি। কষ্ট হচ্ছে, মেনে নিয়েছি। অনেকদিন পর ৫ ঘণ্টা ঘুমালাম। খুব মজা করে পরোটা-ডাল খাইলাম। ধৈর্য ধরে আছি। আমার কোনো ব্যাকআপ নেই, কেউ নাই সাথে। জামাত-শিবিরের পক্ষে পোস্ট দেখে ভাবতে পারেন, সেদিক থেকে সমর্থন পাচ্ছি। আমি নিশ্চিত করছি, জামাত শিবির থেকেও আমি কোনো সাপোর্ট পাচ্ছি না। জামাত সাপোর্ট দিলে রেড ক্রিসেন্টে আমার এই অবস্থা হতো না, তাদের সাহায্য আমি চেয়েছিলাম।’
দুর্নীতি ফাঁস করবেন জানিয়ে মুনতাসির বলেন, ‘সময় নিয়ে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং এনসিপি নেতাদের দুর্নীতির প্রমাণ ফাঁস করব আমি। যা আমি বলি, তা আমি করি। প্রমাণের অভাব নাই, কিন্ত এগুলা গুছিয়ে আনা লাগে। আমার কোনো টিম নাই, ভিডিও আমি করি, এডিটও আমি করি। লাইভ করি, ইউটিউবে আপলোড করি, সেটার থাম্বনেইলও আমাকে বানাতে হয়। আমার দুর্নীতির টাকা নাই।’
তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা নাই। একাধিক উপদেষ্টা আমার বিরুদ্ধে সরাসরি কাজ করছেন। সুযোগ পাইলেই আমার ক্ষতি করবে। আমার ফেসবুক সর্বোচ্চ রেস্ট্রিকটেড করে রাখা হয়েছে। যেখানে সেদিন ৭০০০ লোক একসঙ্গে লাইভ দেখেছে, সেখানে এখন ৫০ জনও একসঙ্গে লাইভ দেখে না। এটা ক্ষমতার অপব্যবহার। আমি হতাশ নই তবে বেশ কষ্টে আছি। মেনে নিয়েছি, আমি জানি, আমি জিতবো, এটা আল্লাহর ওয়াদা।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই কেন্দ্রীয় সংগঠক বলেন, ‘যারা আমাকে এই সংক্রান্ত কাজগুলোতে সহযোগিতা করতে পারবেন, তারা যোগাযোগ কইরেন। দয়া করে কেউ হাই হ্যালো কইরেন না, যথাযথ কারণসহ মেসেজ দিয়েন। আমি এন্ড্রয়েড ফোনের জন্য ভালো একটা মাইক্রোফোন কিনতে চাই, অভিজ্ঞরা সাজেস্ট কইরেন। যারা নির্বাচনী ব্যানার ফেস্টুনের কাজে সহযোগিতা করতে চান, কইরেন। টাকার অভাবে কাজটা শেষ করতে পারছি না! সর্বোপরি, আমার জন্য দোয়া কইরেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘সততা এবং দুর্নীতি ছাড়াও রাজনীতি হয়, সেটা আমি দেখিয়ে দেব। এত এত ঘৃণার ভিড়েও কিছু মানুষ আমাকে ভালোবাসেন, আমি জানি। আমিও তাদের ভালোবাসি, ভালোবাসি বাংলাদেশ।’
এসএস/টিএ